<p>একসঙ্গে দুই কলেজে চাকরি করা শিক্ষক ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এই তদন্ত শুরু করেছে। </p> <p>ছাইফুল বগুড়ার দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজে অধ্যক্ষ ও কাহালু মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে একসঙ্গে চাকরি করছেন। বিষয়টি নিয়ে ১৭ অক্টোবর কালের কণ্ঠ’র ডিজিটাল ও অনলাইন ভার্সনে ‘দুই কলেজে চাকরি করেন এক শিক্ষক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর পরই নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা।</p> <p>তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন হযরত আলী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। </p> <p>তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, ‘ছাইফুলের বিরুদ্ধে দুই কলেজে চাকরিসহ নানা ধরনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগকারী পক্ষকে আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের কাছে কিছু কাগজপত্র জামা দিতে বলা হয়েছে।’</p> <p>ছাইফুল ইসলাম দুই কলেজে চাকরির অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান নই। চাকরিটি এমপিও হলে আমি রিজাইন দিয়ে যেকোনো একটি কলেজে থাকার সিদ্ধান্ত নেব।’</p>