<p>জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ কেটে ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা যানবাহন থামিয়ে, যাত্রী, চালক ও তার সহযোগীদের আক্রমণ করে মূল্যবান সামগ্রী লুট নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে জয়পুরহাটের কালাই বাঁশের ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রায় পাঁচটি যানবাহন এই ডাকাতির কবলে পড়ে। নৈশ কোচ, ট্রাকসহ মাছভর্তি পিকআপ ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাতরা। </p> <p>পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাতরা প্রথমে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের বাঁশের ব্রিজ এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয়। এতে ঢাকাগামী শাহ ফতেহ আলী ও যমুনা লাইন বাসের যাত্রীরা ডাকাতদের হাতে পড়ে। ডাকাতদল যমুনা লাইনের যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নেয় এবং শাহ ফতেহ আলী বাসে ঢুকে চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মোবাইল ফোন, টাকা ও অন্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। এ সময় বগুড়াগামী দুটি ট্রাকও থামানো হয় এবং চালকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।</p> <p>কালাইয়ের বেয়ালা গ্রাম থেকে পাবদা মাছ নিয়ে সিরাজগঞ্জগামী একটি পিকআপ ভ্যান থামানো হয়। পিকআপের চালক ও মাছ ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী জানান, রাত আড়াইটার দিকে এই ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তিনি। অস্ত্রের মুখে তাকে আর তার সহকারীকে অন্য একটি ট্রাকের কেবিনে বেঁধে রেখে মাছভর্তি পিকআপটি নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। </p> <p>তিনি বলেন, ‘আমার ১৮ মণ পাবদা মাছসহ পিকআপ নিয়ে ডাকাতরা চলে গেল আর কিছুই করতে পারলাম না।’</p> <p>শাহ ফতেহ আলী বাসের ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজ জানান, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে যাত্রী ও চালকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতদল । </p> <p>তিনি বলেন, ‘ডাকাতির কবলে পড়া গাড়ির সংখ্যা পাঁচটি নয়, আরো বেশি বলে শুনেছি।’</p> <p>সেখানকার বাংলালিংক টাওয়ারের নৈশ প্রহরী মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আগে পুলিশ আমাদের টাওয়ারের সামনে এসে বসত, কিন্তু এখন আর আসে না। গত রাতে পুলিশ একবার টহল দিলেও এরপর আর তাদের দেখা পাইনি। পরের দিন ফজরের নামাজের সময় উঠে দেখি, সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে আছে। ভয় পেয়ে গাড়ির কাছে যাইনি।’</p> <p>প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।’</p>