<p style="text-align:justify">আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে ডুবোচরে ফেরি আটকে যায়। এর পরই কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দুই ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চালকরা।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে নাব্যতা সংকটের কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌ রুটের আরিচা ঘাটের অদূরে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছিল। এতে স্বল্প পরিসরে যানবাহন নিয়ে এবং ওয়ান-ওয়ে পদ্ধতিতে ঝুঁকি নিয়েই ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়। কিন্তু নদীতে দ্রুত পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় চ্যানেলটি আরো সরু হয়ে পড়ে। পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে খনন করেও নাব্য ঠিক রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।</p> <p style="text-align:justify">এর আগেও আরিচা-কাজিরহাট নৌ রুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতেই ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নৌপথ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।</p> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) জানিয়েছে, স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে কমপক্ষে ৮ ফুট পানি থাকতে হয়। সেখানে বর্তমানে চ্যানেলে ৬ থেকে সাড়ে ৬ ফুট গভীরতা রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা ঘাটের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নাব্যতা সংকটের শুরু থেকেই আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ড্রেজিংকাজও চলমান রয়েছে। এর পরও কয়েক দিন ধরে ফেরিগুলো ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে চলাচল করছিল। এটা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ ফেরি চালু হবে তা বলা যাচ্ছে না।’</p> <p style="text-align:justify">এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন পারাপার হতে আসা ট্রাকের চালকরা। আটকে পড়া ট্রাকচালক আব্দুল হালিম কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ঢাকা থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় আরিচা ঘাটে আসেন। শনিবার সারা দিন তিনি আরিচা ঘাটেই ছিলেন।</p>