<p style="text-align:justify">চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসা হাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।</p> <p style="text-align:justify">রবিবার (৩ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় জামিরুল ও বাবু মাস্টার এবং সাত্তার ও আলম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকেই একজনকে আটক করা হয়। এর আগে, গত ২২ অক্টোবর দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভাংচুর করা হয় অন্তত ৫টি বাড়ি। ওইদিন কমপক্ষে ৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সে দিন মারামারিতে দুজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও বড় কিছু ঘটেনি। রবিবার আবার নতুন করে সংঘর্ষ বাধে।</p> <p style="text-align:justify">প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকালে ধারাল অস্ত্র নিয়ে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাংচুর হয়েছে অন্তত দুটি দোকান। এ সময় ৭-৮টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে বলে পুলিশ জানালেও স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় অর্ধশত ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কবরস্থানের জমি নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের শুরু। পরে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়ে তা বর্তমানে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে রুপ নিয়েছে। সংঘর্ষ পুরো ইউনিয়নে ছড়িয়েছে। এসব ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।</p> <p style="text-align:justify">সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘গত ২২ অক্টোবরের ঘটনায় জামিলুর বাদী হয়ে থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। পরে সাত্তার গ্রুপও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দুই মামলায় দুই গ্রুপের দুজন করে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ রবিবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবারের ঘটনায় নতুন করে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’</p>