<p>নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ শিকার করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খান। রবিবার (৩ নভেম্বর) শেষদিনে চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদী থেকে আরো কয়েকজন জেলেসহ আটক হন তিনি।</p> <p>চাঁদপুরের নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান জানান, একদল জেলের সঙ্গে সরাসরি ইলিশ শিকার করছিলেন কাইয়ুম। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চাঁদপুর কার্যালয়ে এজিএম হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। তার বাড়ি কুমিল্লা সদরে। ছয় জেলের সঙ্গে ইলিশসহ হাতেনাতে আটক করা হন তিনি।</p> <p>অনুতপ্ত হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বলেন, এক গ্রাহকের পাল্লায় পড়ে নদীতে যান তিনি। তার দাবি, এখন নদীতে যে নিষেধাজ্ঞা চলে তা তিনি জানতেন না। </p> <p>রাতেই ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে মামলা করেছে নৌ পুলিশ। </p> <p>প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নৌ পুলিশের অভিযানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান জানান, চাঁদপুর অঞ্চলে মা ইলিশ সংরক্ষণে বিশেষ অভিযান শুরুর প্রথমদিন ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। এ সময় মেঘনা ও পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৬৯৮ জনকে আটক, এক কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল এবং তিন হাজার ৭৩৯ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ১৭৫টি এবং দুইটি ট্রলার জব্দ করা হয়। আর এসব অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ এবং কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।</p> <p>রবিবার রাতে চাঁদপুর নৌ থানায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম ইকবাল হোসেন।</p> <p>প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ রবিবার মধ্যরাতে।</p>