<p>মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় মাছ ধরা শুরু করেছেন জেলেরা। তবে শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত মাছ জালে ধরা না দেওয়ায় জেলেদের কপালে দুঃশ্চিতার ভাঁজ। </p> <p>সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর থেকেই নদীতে জাল ও নৌকা নিয়ে ছোটবড় অসংখ্য জেলেকে দেখা গেছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে সবাই ছুটে যাচ্ছেন সুবিধাজনকস্থানে। তারপর নদীতে জাল ফেলছেন। </p> <p>বেশ কয়েকজন জেলে জানালেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার ছিলেন তারা। তাই আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে ছিলেন। এরমধ্যে সরকারি প্রণোদনার চাল পেলেও নিষেধাজ্ঞার প্রথম সপ্তাহে তা ফুরিয়ে যায়। তারপর ধারদেনা করে চলছে হয়েছে। </p> <p>এদিকে, নতুন করে আবারো নদীতে যেতে হবে। তাই সেই ধারদেনা আর ঋণ করে জাল ও নৌকা মেরামত করতে হয়েছে। এতে দেনার ভার বাড়ছেই। এমন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানো সংগ্রামে মাছ ধরছেন এসব জেলে। </p> <p>সদর উপজেলার রনাগোয়াল এলাকার জেলে সাইফুল জানান, ভোরে ৩ ঘণ্টা নদীতে জাল ফেলে ছোটবড় মিলিয়ে ৬টা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ পেয়েছেন। কিন্তু খরচ পোষানোই কঠিন। কারণ তার সঙ্গে আরও পাঁচজন জেলে। সঙ্গে নৌকার ইঞ্জিনের জ্বালানি খরচ। </p> <p>টিলাবাড়ি এলাকার আরেক জেলে মিজান জানান, পুরনো নৌকা আর তার ইঞ্জিন মেরামতে ৫০ হাজার টাকা সমিতি থেকে নিয়েছেন। মাছ ধরার পর তার এখন পরিশোধের তাড়া। কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেলে ঋণের বোঝা বাড়তেই থাকবে। </p> <p>উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গতকাল রবিবার মধ্যরাতে।</p>