<p style="text-align:justify">পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠিতে দিনের বেলায় শেফালী বেগম (৬৮) নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যা করে সর্বস্ব লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে, সন্ধ্যায় ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশ ও সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">নিহতের ছেলে শিক্ষক এনামুল হক জানান, তিনি তার স্ত্রী রাদিয়া রিপা ও ছোট ভাই নেয়ামুল হক হক রিয়াজ তিনজনই শিক্ষক। নিত্যদিনের মত সকালে তারা সবাই বিদ্যালয়ে চলে যান। তার ছেলে তাহজিদও মাদরাসায় যায়। ছোট ভাই রিয়াজের স্ত্রী গত শনিবার বেড়াতে গিয়েছে। ঘটনার সময় তাদের মা শেফালী বেগম ভবনের দোতলায় একাই ছিল। দুপুরে এনামুলের ছেলে তাহজিদ মাদরাসা থেকে বাসায় ফিরে দাদীর হাত-পা রশি দিয়ে বাধা এবং গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পায়। এ অবস্থা দেখে সে ডাক চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে এসে শেফালী বেগমকে পার্শ্ববর্তী জাহানারা ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। </p> <p style="text-align:justify">এনামুল বলেন, বাসার আলমিরা শোকেস ভেঙে তছনছ করে নগদ এক লাখ টাকা এবং অন্তত ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। তবে ঘটনার উদ্দেশ্য কি হতে পারে-সেটা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।</p> <p style="text-align:justify">নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বনি আমিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।</p> <p style="text-align:justify">পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, নেছারাবাদে একজন বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে, সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মুকিত হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ এবং সিআইডির টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। আমরা আশা করি, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।</p>