<p style="text-align:justify">ফেসবুকে একটি ধর্মীয় সংগঠন নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস শেয়ার দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন হাজারী এলাকায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। এসময়  ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙখলা বাহিনী। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। এসময় একদল লোক সেখানে বিক্ষোভ করে।</p> <p style="text-align:justify">ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে ইট নিক্ষেপ করলে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।  এ ছাড়া আরো এক পুলিশ সদস্যকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়।<br />   <br /> পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওসমান ইসকনের কার্যক্রম সম্পর্কে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। এতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। পরে সন্ধ্যার দিকে কিছু মানুষ ওসমানের দোকানে হামলা চালিয়ে সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। </p> <p style="text-align:justify">খবর পেয়ে বকশিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও যুবকদের আচরণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে কোতোয়ালি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী তারেক আজিজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ওসমান ইসকনকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে। এতে কিছু লোক তার দোকানে গিয়ে হামলা চালায় ও বিক্ষোভ করতে থাকে। এই সময় ব্যবসায়ীকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে সাত পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন অ্যাসিড হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, হামলাকারীদের ধরতে রাত সাড়ে ১০টা থেকে এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যাতে কেউ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে আরো অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক আছি।</p>