<p>কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদরাসাছাত্র আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসি ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের জরিমানাও করা হয়েছে।</p> <p>বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে জেলা তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় ঘোষণা করেন। ঘোষিত রায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৫০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে : হাছান মাহমুদ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/06/1730884648-c902dbdd1fcb4af3350e3d618b0a6fec.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৫০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে : হাছান মাহমুদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/06/1443441" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মামলা চলাকালে জামিনে গিয়ে পলাতক হওয়ায় রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুক আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার বরাবর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। অন‌্যদিকে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া রিয়াজ উদ্দিনও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি একই এলাকার সিরাজউদ্দিনের ছেলে। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের  সাজাপ্রাপ্ত আসামি  আব্দুল হেকিমের ছেলে নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে মোবাইল ফোন চার্জ করে দেওয়ার কথা বলে পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. রেনু মিয়ার মাদরাসাপড়ুয়া ছেলে আবুল হোসেনকে (১৪) নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে ফারুক। এরপর থেকে আবুল হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের পর ৫ সেপ্টেম্বর আবুল হোসেনের মা পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির পার্শ্ববর্তী খামা শৈলমারী বিলের পানিতে বাঁশের খুঁটিতে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই দিন আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না : শমী কায়সার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/06/1730887306-bbda17fc19cff5598a3ab10258560447.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না : শমী কায়সার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/11/06/1443451" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাদী লিখিত এজাহারে অভিযোগ করেন, তার ছেলের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই আসামিরা তাকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু পরে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, তার মেয়ে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে সন্দেহে আবুল হোসেনকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে বাঁশের খুঁটিতে বেধে পানির নিচে পুঁতে রাখে।</p> <p>পুলিশ তদন্ত শেষে ফারুকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মোবাইল ফোন আত্মসাৎ করার জন্যই আবুল হোসেনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।</p>