<p>উল্লাপাড়ায় বৃষ্টির পানিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কলেজপাড়ায় আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতায় সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। বিপদে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষেরা। পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।</p> <p>কলেজপাড়ার বাসিন্দা ডলি খাতুন বলেন, ‘আমরা কলেজপাড়ায় বসবাসরত অনেকগুলো পরিবার চরম সমস্যার মধ্যে আছি। আমরা বিগত মেয়রের নিকট অনেক বার দ্বারস্থ হয়েছি কিন্তু আমাদের কোনো প্রকার সমাধান হয়নি। আমার বাসার টিউবওয়েল ডুবে গেছে, আমরা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি না। অনেক দূর থেকে পানি এনে বাড়ির রান্নাবান্না করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করছি। বিভিন্ন পানিবাহিত রোগসহ মশা, পোকামাকড়, সাপের আতঙ্কে বাড়িতে আছি।’</p> <p>শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। আমি পৌরসভার ড্রেনের সঙ্গে ৬ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে সংযোগ দেওয়ার পরেও এই পানি ড্রেনের মধ্যে যায় না, বরং ড্রেনের পানি পাইপ দিয়ে আমার বাসার ভেতরে ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে আমার বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে এবং আমার বাসার ল্যাট্রিনগুলো ডুবে গেছে।’</p> <p>কলেজপাড়ার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান সোহেল বলেন, ‘আমরা কলেজপাড়ার বাসিন্দা পানি প্রবাহের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। বিগত সময় আমরা পৌর মেয়রের কাছে ও উপজেলা পরিষদে জানিয়ে ছিলাম কিন্তু তারা স্থায়ী কোনো সমাধান দেয়নি এবং স্থায়ী কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। তাই আমরা এই জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত স্থায়ী সমাধান চাই।’</p> <p>উল্লাপাড়া পৌরসভার সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাকা রাস্তার চেয়েও বাড়িঘরগুলো উঁচু থাকার কারণে পানি জমে যায় এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরেজমিনে আমি ও আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছি এবং যথাযথভাবে ইস্টিমেট করে টেন্ডারের আওতায় এনেছি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের রুপ দেব।’</p>