<p>যশোরে ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই আসামিসহ কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যা এবং বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।</p> <p>বুধবার (৬ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শহরতলির খোলাডাঙ্গা গাজিরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730970895-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/07/1443856" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে যশোর ডিবির ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম শহিদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। <br /> পুলিশ জানায়, জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা তদন্ত শুরু করে যশোর ডিবি পুলিশের একটি টিম। তদন্ত চলাকালে খোলাভাঙ্গা গাজিরহাট বাজার থেকে তদন্তে প্রাপ্ত দুই আসামি সাদমান রহমান সাকিন (১৯) ও আল-আমিন হোসেনকে (১৮) গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আগে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ জব্দ করে পুলিশ। ফুটেজটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি লাবিব, সাকিনসহ চার-পাচজন একটি মাদক সেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ওই ভিডিওর সূত্র ধরে সাকিনের তথ্য মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে ভিডিওতে প্রাপ্ত কিশোর গ্যাংয়ের আরো তিন সদস্য রায়হান আহমেদ (২১), আব্দুর রহমান সাগর (২১) ও রিয়াদ হাসানকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা সবাই যশোর শহরতলি ও শহরের খোলাডাঙ্গা ও খড়কি এলাকার বাসিন্দা।</p> <p>গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে রায়হানের বসতবাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার সময় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লাবিবের বাসায় অভিযান চালানো হয়। লাবিবের শয়নকক্ষে তল্লাশি করে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কমলা হ্যারিসের ভবিষ্যৎ এখন কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730969812-a4dba9b67cf54c1c9da7b162dfbc1b74.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কমলা হ্যারিসের ভবিষ্যৎ এখন কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/07/1443854" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ডিবি পুলিশ আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আল-আমিন ও সাকিন জামায়াত নেতা সজলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরো ১৩-১৪ জনের নাম প্রকাশ করে জানায়, ঘটনার ১৫-২০ দিন আগে এলাকার জনৈক ফখরুল ইসলামের এক স্বজনের আসামি স্বরণ ও রবিন পথরোধ করে ব্যাগ তল্লাশির ঘটনায় ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিহত সজলকে নিয়ে প্রতিবাদ করে। এ সময় আসামি স্বরণ, লাবিব ও রবিনকে চড়থাপ্পড় মারে নিহত সজল।</p> <p>পরে আসামি স্বরণ, লাবিব ও রবিন সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করে সঙ্গীয় ১০-১২ জনের সহযোগিতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নামাজে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সজলকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে ২১টি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। রক্তাক্ত সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন।</p>