<p>টঙ্গীতে অবস্থিত শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে আহসানউল্লাহ মাস্টারের নাম বাদ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। দাবিটি পূরণ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের সামনে টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের স্টেশন রোডে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>‘টঙ্গীবাসী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন টঙ্গীর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. মানিক শেখ, সানজিদ আহমেদ মিথুন, শাহিন ইসলাম, এনামুল হাসানসহ আরো অনেকে। তারা জানান, দাবিটি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হবে।</p> <p>মানিক শেখ বলেন, ‘টঙ্গীর সব উন্নয়ন করেছে সরকার পরিবার। কারারুদ্ধ বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকার টঙ্গীর অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। তাই টঙ্গীর সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তাদের কথা মেনে চলা উচিত। আমরা টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে আহসানউল্লাহ মাস্টারের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>মানববন্ধনে টঙ্গী এলাকার অনেক বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আফজালুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, টঙ্গীর সরকারি হাসপাতালটি ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ছিল, যা ১৯৮১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এবং নামকরণ করা হয় টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে এটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল হিসেবে উন্নীত হয়।</p> <p>টঙ্গীর স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার কিছুদিন পর রাতের আঁধারে সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে সেটি ‘শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল’ নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে একটি নামফলক স্থাপন করা হয়, যাতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের নাম উল্লেখ করা হয়।</p> <p>বিএনপির কারারুদ্ধ কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহানুর ইসলাম রনি, যিনি ২০২৩ সালের ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টঙ্গীর সব উন্নয়ন সরকার পরিবার করেছে। অথচ মিথ্যা মামলায় আমার বাবাকে কারাগারে রেখে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তার বাবা আহসানউল্লাহ মাস্টারের নামে টঙ্গী হাসপাতালসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছেন।’</p> <p>তিনি এই নামকরণের প্রতিবাদ জানান।</p>