<p>পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর মহান দিন। যেদিনের সৃষ্টি না হলে বিএনপি সৃষ্টি হতো না। যেদিন না এলে জনগণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম সম্বন্ধে জানত না। সে সময় দেশের যখন ক্রান্তিকাল চলছিল। তখনই দেশ ও মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন জাতির মহান নেতা জিয়াউর রহমান। তৎকালীন খালেদ মোশাররফের নির্দেশে ৩ নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছিল।</p> <p>আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি অনার্স কলেজে এক বিশাল জনসভায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এসব কথা বলেন তিনি। </p> <p>মাকসুদুর রহমান খন্দকার বলেন, ‘৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কোনো প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা ছিল না। দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছিল। ঠিক এই মুহূর্তে ৭ নভেম্বর ভোরবেলায় সিপাহিরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন। তাই দেশ যখনই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। সেই ক্রান্তিকালে দেশ ও মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সুন্দর, সোনালি ও শান্তিপূর্ণ দেশে পরিণত করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালে যখন শেখ মুজিব ও তার লোকজন দেশ থেকে পালিয়ে যান।  ঠিক তখনই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাই এই ঐতিহাসিক দিন বিএনপি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা যখনই দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন তখনই খুন, গুম, লুটপাট, দুর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতন ও অন্য রাজনৈতিক দলকে নিষ্পেষিত করেছেন। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে। শেখ হাসিনা গোটা বাংলাদেশকে একটি মৃত্যুপুরী ও কারাগারে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।’</p> <p>আমাদের নেতাকর্মীদের, আমাদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের দোকানপাট, ঘরবাড়ি লুটপাট করা হয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু হয়। বিএনপি ও ছাত্র-জনতা একত্র হয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে। শেখ হাসিনা একজন খুনি, একজন বিশ্বাসঘাতক, একজন প্রতারক। তিনি আমাদের কোমলমতি হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছেন। তাই এই খুনি ও তার দলের আশ্রয় বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।’</p> <p>মাসুদ বলেন, ‘ভাঙ্গুড়ায় যেসব আওয়ামী লীগের নেতা নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন। তাদের ভাঙ্গুড়াবাসীর কাছে মাফ চাইতে হবে। নইলে তাদের ভাঙ্গুড়া প্রবেশের দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে। ভাঙ্গুড়ার মানুষকে যারা ভোট করতে দেয়নি। তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাঙ্গুড়ার মাটিতে আসতে দেওয়া হবে না।’ </p> <p>জনসভার আগে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিএনপির একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলা সদরের ভাঙ্গুড়া বাজার ও শরৎনগর বাজার প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব ও উপজেলা চেয়ারম্যান নূর মুজাহিদ স্বপন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল হীরক, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম বুরুজ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম, সদস্যসচিব আব্দুল মালেকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।</p>