<p style="text-align:justify">স্বামীর অনুপ্রেরণায় প্রথমবার ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন পেশায় নার্স গাউছিয়া আক্তার। জিতেছেন প্রাইজমানি ও মেডেল। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) নরসিংদীতে দেশ-বিদেশের ৭০০ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘রায়পুরা ম্যারাথনে’ অংশ নিয়ে এই অর্জন করেন তিনি।  </p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার সকাল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেট থেকে দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যা নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কের হাসনাবাদ ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকা গিয়ে সকাল ১১টায় শেষ হয়। রায়পুরা ম্যারাথন উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।</p> <p style="text-align:justify">গাউছিয়া আক্তার বলেন, ‘রায়পুরার হয়ে আমিই একমাত্র নারী প্রতিযোগী ছিলাম। এবার ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে দৌড়ানোর অভিজ্ঞা অর্জন করলাম। আগামীতে আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশ নেওয়া ইচ্ছে আছে।’</p> <p style="text-align:justify">দৌড়বিদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘আমার বয়স ৫২ বছর। ঢাকা শহরের বসবাস করি। এই বয়সেও আমি দৌড়াই। কারণ এতে শরীর ও মন ভালো থাকে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে না। রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। দেশ-বিদেশে বেশ কয়েকটি আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশ নিয়েছি। তার মধ্যে রায়পুরা ম্যারাথন ছিল অন্য রকম। দৌড়ানোর সময় সড়কের পাশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। নরসিংদীর মানুষের আতিথেয়তা আমি মুগ্ধ।’</p> <p style="text-align:justify">বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, ‘ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে রায়পুরার ভালো দিকগুলো দেশ ও বিদেশের মানুষ জানতে পারবে। আমি নিজেও একজন প্রতিযোগী ছিলাম। নিয়মিত দৌড়ালে ওষুধ খেতে হবে না। শরীর ও মন সুস্থ থাকবে।’</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, তিনটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিশ্বের ছয়টি দেশের দৌড়বিদরা রায়পুরা ম্যারাথনে অংশ নেন। এদের মধ্যে ১৫ জন চীন, জাপান, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চেক রিপাবলিকের নাগরিক। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারী দৌড়বিদও ছিলেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের বয়স ছিল ১৪ থেকে ৬০ বছর। দৌড়বিদের নিরাপত্তা নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসসহ ২০০ স্বেচ্ছাসেবী।</p> <p style="text-align:justify">রায়পুরা রানার্স কমিউনিটি সমন্বয়ক সুবজ শিকদার বলেন, ‘৭০০ জনের মধ্যে ১০০ জন ৪২ কিলোমিটার আল্ট্রা ম্যারাথন, ৩০০ জন ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন ও ৩০০ জন ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জেলার ইতিহাসে এত বড় আয়োজন সফল করতে পেরেছি। সবার সহযোগিতা পেলে সামনে আরো বড় পরিসরে ম্যারাথন আয়োজন কবর।’</p> <p style="text-align:justify">নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা ও শরীর চর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ম্যারাথন তাদেরকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ডায়াবেটিসসহ সব রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দৌড়ানো প্রয়োজন। সামনেও প্রশাসন পক্ষ থেকে ম্যারাথন আয়োজনে পাশে থাকার কথা জানান তিনি।</p>