<p style="text-align:justify">সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাটের শিশুকন্যা মুনতাহা আক্তার জেরিন (৫) নিখোঁজ ৮ দিন ধরে। মেয়েকে ফিরে পেতে পাগলপ্রায় পরিবার নানাভাবে আকুতি জানাচ্ছিল। এক পর্যায়ে অর্থ পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। নিষ্পাপ শিশুর মুখ ষ্পর্শ করেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে দেশবাসীর। অনেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, পুরস্কারও ঘোষণা করেন অনেকে। </p> <p style="text-align:justify">অবশেষে মুনতাহার সন্ধান মিলল, তবে প্রাণহীন নিহত অবস্থায়।</p> <p style="text-align:justify">আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোররাত ৪টার দিকে কানাইঘাটে মুনহাদের বাড়ির পাশের পুকুরের পাড়ে মাটি চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। <br /> মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুনতাহার প্রতিবেশী এক ভিক্ষুক নারীকে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে অভিযান চালিয়ে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুনতাহার দাদা মো. ছালিক মিয়া।</p> <p style="text-align:justify">কানাইঘাট থানার ডিউটি অফিসার জানান, কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।</p> <p style="text-align:justify">গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলে যায় মুনতাহা। সেখান থেকে ফিরে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায় সে। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মুনতাহার পরিবার দাবি করে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেখে কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">পরবর্তীসময়ে ‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরুস্কারও ঘোষণা করেছিল পরিবার। পরিবারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি শিশু মুনতাহার সন্ধান দিলে নানা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। </p>