<p>রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো ওপর ভোরে কুয়াশা উঁকি দিচ্ছে। দুর্বা ঘাসে মাকড়সার জাল। সূর্যের আলো পড়তেই চিকচিক করে উঠছে শিশিরবিন্দু। হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে। নগরী ও শহরে জীবনে সেভাবে না বুঝা গেলেও গ্রামীণ জনপদে শীতের আমেজটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। </p> <p>আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে এ বছর তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে মনে করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।</p> <p>রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে, ফুটপাতে বসেছে মুখরোচক পিঠাপুলির পসরা। বাজারে মিলছে শীতকালীন সবজি। শীতের আগমনী বার্তা মিললেও এখনি শীত জেঁকে বসার সম্ভাবনা নেই। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে, এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।</p> <p>রংপুর নগরীর গুড়াতি পাড়া এলাকার আরজু মিয়া জানান, সন্ধ্যা থেকে সকাল পযন্ত শীত পড়ছে। রাতে গরম কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে চলতি বছর বেশি শীত বাড়তে পারে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আবার সকালে ঘন কুয়াশা পড়ছে।</p> <p>আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে চলতি মাস থেকে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।</p> <p>আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে আরো বলা হয়েছে, শীতের পাশাপাশি শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল,মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অবাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে এবং এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।</p> <p>এদিকে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় শীতের দাপট বাড়ছে। এইসব জেলাগুলোতে আগাম শীত নেমে যায়। রাতে গরম কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। উত্তরের জেলাগুলোর নগরজুড়ে গরম কাপড় বেচা কেনা করছেন ব্যবসায়ীরা।</p> <p>রংপুর আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের লোকজন সকালের দিকে শীতের অনুভূতি পাচ্ছেন। সকালে কুয়াশা পড়ছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পঞ্চিমাঞ্চলে শীতের অনুভূতি তৈরি হবে। </p> <p>তিনি আরো বলেন, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইবে ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারির শুরুতে।</p>