<p>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। </p> <p>গত ২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে মুহসীন হলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সাইফুর রহমান যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার দপ্তরের সংস্থাপন প্রশাসন-১ কর্মরত। যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার এমদাদুল হক তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। </p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট সাইফুর রহমানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুহসীন হলে ৫ শিক্ষার্থীকে সারারাত নির্মম নির্যাতন করে হল গেটে ফেলে রাখেন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাজনৈতিক ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার তৎকালীন ৫ শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বাপ্পি মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইবরাহীম হোসেন, মেহেদী হাসান ও আবদুল গাফফারের পক্ষে নির্যাতিত মাসরুর বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।</p> <p>সাইফুর রহমান ২০১৭ সালের ১৮ আগস্টে একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে শিবিরের ব্যাপারে মাইনাস টলারেন্স..... আজকের অপারেশন...।’ এই পোস্টে তিনি নির্যাতনের শিকার পাঁচ শিক্ষার্থীর ছবিও প্রকাশ করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির টাকা ফেরত চান ক্যান্টিন মালিকরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/10/1731193638-acbbaa60404c6bf835d76e34ef9f20b8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির টাকা ফেরত চান ক্যান্টিন মালিকরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2024/11/10/1444837" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পাঁচ বছর পর সেই পোস্ট শেয়ার দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আজ থেকে ৫ বছর আগে মুহসীন হলের আমার রুমে শিবিরগুলোকে হালকা আদর করেছিলাম। মনে আছে..’ এই কথা লিখে সেই পোস্টে জহির রায়হান সরকার ও মেহেদী হাসান সানি নামের আরো দুজনকে ম্যানশন করেন।</p> <p>তবে এ বিষয়ে জানতে যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।</p>