<p>ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে কীর্তনখোালা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌ পুলিশের বরিশাল সদর থানার উপপরিদর্শক আসাদুল ইসলাম গালিব এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। </p> <p>তার নাম অলো মজুমদার (৩৭)। তিনি পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) পরিদর্শক অনুপ রায়ের স্ত্রী। </p> <p>বরিশাল সদর থানার উপপরিদর্শক আসাদুল ইসলাম গালিব জানান, নগরীসংলগ্ন চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরকাঠি এলাকায় মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মৃতদেহ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে স্বজনরা এসে মৃতদেহটি আলো মজুমদারের বলে শনাক্ত করে। </p> <p>আলোর ভাই মঞ্জু মজুমদার জানান, তার বোন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ তথ্য জানিয়ে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তারা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া মা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731409398-920b5bc63108658b9a2efb02dfa18dd8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া মা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/12/1445784" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের কেরানি মো. বাবুল জানান, তাদের লঞ্চটি সোমবার বরিশাল থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। তিনি ডেকের যাত্রী ছিলেন। লঞ্চ থামিয়ে দুই ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করেও ওই নারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে বিষয়টি জানিয়ে তারা লঞ্চ ছেড়ে ঢাকা চলে যান।</p>