<p>নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে এক শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলো অজ্ঞাত শিশু (৯) ও রাজমিস্ত্রী আমিনুল মিয়া (২৮)। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রাম ও উপজেলার ঝানজাইলের খাঁপাড়া এলাকার থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।</p> <p>জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রাম থেকে আমিনুল মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। অপরদিকে উপজেলার ঝানজাইল এলাকার কংস নদীতে ভাসমান অবস্থায় আনুমানিক ৯ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১১টা দুজনের মরদেহ থানায় রয়েছে।</p> <p>নিহত আমিনুলের স্বজন সেলিম মিয়া জানান, আমিনুল নেশা করত। দুই বছর আগে তার বউ চলে যায়। এরপর আরেকটি বিয়ে করলে তিন দিন পর সেই বউ চলে যায়। প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতে সে ঘুমিয়ে যায় সকালে রাজমিস্ত্রীর কাজে যাওয়ার কথা কিন্তু সে ঘুম থেকে না উঠায় বাড়ির লোকজন দরজায় ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি সে। পরে টিনের ফাঁক দিয়ে দেখে নিথর দেহ ঝুলে আছে। </p> <p>এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, ঝানজাইলের খাঁপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নান খানের বাড়ির দক্ষিণ দিকে আনুমানিক তিন শ গজ দূরে কংশ নদ এবং জারিয়া ব্রিজের থেকে অনুমান হাফ কিলোমিটার পূর্বদিকে অজ্ঞাত এক শিশু ছেলের মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। অপরদিকে চণ্ডীগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল প্রেরণ করা হবে।</p> <p>ওসি আরো বলেন, ধারণা হচ্ছে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহটি নদীর উজান হতে স্রোতে ভেসে আমাদের থানা এলাকায় চলে এসেছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। ওই শিশুর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টাও অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।</p>