<p>সাভারের হেমায়েতপুর চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়। </p> <p>এ সময় শতাধিক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি গ্যাস সংযোগের ব্যবহৃত নিম্ন মানের পাইপ, চুলা ও রাইজার জব্দ, এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান ও ব্যবহার করায় চলন্তিকা হাউজিংয়ের মালিক মামুন মিয়াকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন মিল্টন রায়। </p> <p>তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই হেমায়েতপুর এলাকার চলন্তিকা হাউজিংয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর আগে একাধিকবার ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হলে পরবর্তীতে আবারও গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সংযোগ প্রদান করেন চলন্তিকা হাউজিংয়ের মালিক মামুন মিয়া। এ কারণে মামুন মিয়াকে সকাল থেকেই আটক রেখে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান পরিচালনা করা হয়।</p> <p>অভিযানে শতাধিক বাড়িতে দেওয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত নিম্নমানের পাইপ, চুলা ও রাইজার জব্দ করা হয়। অভিযানে চলন্তিকা হাউজিংয়ের মালিক মামুনের নিজের ১০ তলা ভবনে অবৈধ সংযোগ থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে নগদ দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং সতর্ক করেন।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ বার অভিযান পরিচালনা করার পরও এখানে অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি। তিতাস কর্তৃপক্ষ ঢাকঢোল বাড়িয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর রাতের আঁধারে একশ্রেণির দালাল চক্র তিতাসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে পুনরায় সংযোগ প্রদান করে। যে কারণে বার বার অভিযানের পরও অবৈধ সংযোগ ব্যবহার রোধ করা যাচ্ছে না।</p> <p>অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তিতাসের অভিযানে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেওয়া শতাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় চলন্তিকা হাউজিংয়ের ভবন মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।</p> <p>অভিযান পরিচালনার সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালে মো. খাদেমুদ্দিন, উপ-ব্যাবস্থাপক আব্দুল মান্নান, উপ-ব্যবস্থাপক (জোবিঅ আশুলিয়া) আনিসুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন আলমগীর, উপ-ব্যবস্থাপক মো. সাকিব বিন আব্দুল হান্নান, সহকারী ব্যবস্থাপক আল মামুন শেখ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ। এ ছাড়া অভিযান চলাকালে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।</p>