<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌসভার হিসাবরক্ষক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে চলতি বছরের ১০ মার্চ কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় বদলি করা হলেও তিনি এখনও আখাউড়া পৌরসভাতেই কর্মরত আছেন।</p> <p>স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৌর শাখা-১ এর উপসচিব মো. আব্দুর রহমান ১০ মার্চ স্বাক্ষরিত এক আদেশে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ২৪ মার্চের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেন। ২৫ মার্চের মধ্যে যোগ না দিলে তাকে আখাউড়া পৌরসভা থেকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজড’ বলে গণ্য করার কথা বলা হয়। একই আদেশে তার বেতন ও পাওনাদি নতুন কর্মস্থলে স্থানান্তরের জন্য পৌর মেয়রকে অনুরোধ করা হয়।</p> <p>জানা গেছে, সৈয়দ আশরাফুল আট মাস ধরে আখাউড়া পৌরসভা থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন, যদিও তার বদলির আদেশ কার্যকর হয়নি এবং কোনো নতুন আদেশও আসেনি। পৌরসভার সূত্রে জানা গেছে, বদলির আদেশের পর তৎকালীন মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তার বদলির আদেশ বাতিলের অনুরোধ করেন। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো জবাব আসেনি।</p> <p>স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি অভিযোগে সৈয়দ আশরাফুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তার বদলির আদেশ হলেও তিনি মেয়রের সহযোগিতায় আদেশকে উপেক্ষা করেছেন এবং এ অবস্থায় বেতন-ভাতা উত্তোলন আত্মসাতের শামিল।</p> <p>সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বদলি আদেশের সময় পৌরসভায় লোকবল কম ছিল, তাই তৎকালীন মেয়র বদলির আদেশ বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। এখনো সেই চিঠির কোনো জবাব আসেনি, তাই আমি আখাউড়াতেই আছি।’</p> <p>আখাউড়া পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আহমেদ বদলির আদেশটি নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও গাজালা পারভীন রুহী বলেন, ‘সচিবের পক্ষ থেকে কোনো আদেশ এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>