<p>উত্ত‌রের জেলা কুড়িগ্রামে দি‌নের পর দিন শী‌তের তীব্রতা বে‌ড়েই চল‌ছে। মাঝরাত থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদ‌রে ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ জনপদ। দি‌নের বেলায় গরম ও সন্ধ‌্যার পর থে‌কে শী‌তের প্রকোপ বে‌ড়ে যাওয়ায় শীত জ‌নিত রোগীর সংখ‌্যাও বাড়‌ছে। বেলা বাড়‌লেও ঘন কুয়াশার কার‌ণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন‌গু‌লোকে। এতে ক‌রে কিছুটা ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ছেন খে‌টে খাওয়া মানুষজন।</p> <p>স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জা‌নি‌য়ে‌ছে আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল র‌বিবার ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।</p> <p>উলিপুর উপ‌জেলার হা‌তিয়ার গ্রা‌মের রিকশাচালক জহুর আল‌ী বলেন, ‘সকা‌লে গা‌ড়ি (রিকশা) নি‌য়ে বের হ‌তে পা‌রি না। শী‌তে জামা-কাপড় ভি‌জে যায়। আগে সকা‌লে যা‌ত্রী পাওয়া গে‌লেও শী‌তের কার‌ণে মানুষ এখন কম বের হয়। ফ‌লে যা‌ত্রীও পাওয়া যায় না।’</p> <p>কৃষক আবেদ আলী বলেন, ‘এখন বে‌শিরভাগ ধান পাক‌তে শুরু কর‌ছে। এর ম‌ধ্যে কাটামাড়াই শুরু হ‌য়ে‌ছে। সকা‌লে দলবল নি‌য়ে ধান কাট‌তে গে‌লে শ‌ী‌তের কার‌ণে ঠিকভা‌বে ধান কাটা সম্ভব হয় না। একজন কৃষক এক ঘণ্টায় যতটুকু কাজ করা সম্ভব হ‌তে, একই কাজ দুজনকে কর‌তে হ‌চ্ছে।’</p> <p>কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থে‌কে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠা-নামা করছে। তবে নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’</p>