<p>চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হওয়ার অভিযোগ এনে শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন যুবলীগকর্মী কফিল উদ্দিন।</p> <p>সোমবার (১৮ নভেম্বর) তিনি আদালতে মামলা করেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে করা মামলায় কফিল উদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ওই দিনই আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে কি না, অনলাইনে যাচাই করবেন যেভাবে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732113853-2cf114e3069648c608df290b47bef0c1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে কি না, অনলাইনে যাচাই করবেন যেভাবে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/20/1448830" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কফিল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একসময় আবেগে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলে যেতাম। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে যুবলীগের মিছিলেও যেতাম। আর যুবলীগের এক বড় নেতার সঙ্গে সেই সময় কিছু ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু ছাত্রদের ওপর হামলার পর আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছি। কোনো সুবিধার জন্য মামলা করেনি।’<br />   <br /> সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র, মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে এবং আনোয়ারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন। এ ছাড়া  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের ১০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ২৭৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন মো. রাইয়ান নামের এক যুবক। সেখানে কফিলকে ২৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাংলাদেশে ডিএপি ও পটাশ সার রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732110886-1583ff119dd46dd066692f91fc3d70a6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাংলাদেশে ডিএপি ও পটাশ সার রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/20/1448823" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এজাহারে বাদী রাইয়ান অভিযোগ করেছেন, আসামিরা পরস্পরের সহযোগিতায় গত ৪ আগস্ট নিউ মার্কেট এলাকায় মিউনিসপাল স্কুলের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর হামলা করেন এবং গুলি চালান। এতে রাইয়ানের চোখেও হাতে-পায়ে গুলি লাগে।<br />  <br /> এদিকে কফিলের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর মামলা হলেও কফিল আদালতে নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন ১৮ নভেম্বর। সেই মামলায় রাইয়ানকে আসামি করা হয়েছে। রায়ইয়ানকে মামলার ৯২ নাম্বার আসামি করেছেন। এছাড়া তার মামলায় কফিলের করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ, পিবিআইয়ের সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি ওবায়দুল হক, নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ মহসীন, জাহিদুল কবির, এসআই বোরহান উদ্দিন, খাজা এনাম এলাহীসহ ২৬ পুলিশ কর্মকর্তা। </p> <p>স্থানীয়রা জানায়, কফিল শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগ পর্যন্ত যুবলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে যেতেন। এছাড়া নিজেকে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। এছাড় বাবরের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন কফিল। এছাড়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিলের ছবিতেও তাকে দেখা গেছে। কফিল এজাহারে উল্লেখ করেছেন কোতোয়ালী থানার নন্দনকান এলাকার দুই নম্বর গলিতে বসবাস করেন। এছাড়া বাড়ী চট্টগ্রামের আনোয়ারা বলে উল্লেখ করেন।  বাবরের বাসাও চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকায় । বাবরের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করার অভিযোগে কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। তবে কফিলের মামলার আসামি করা হয়নি বাবরকে।<br />   <br /> মামলার অভিযোগে কফিল উল্লেখ করেন,গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটান। এতে কফিল হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন।  সুস্থ হয়ে সংশ্লিষ্টদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় মামলা করতেও তার দেরি হয় বলে কফিল এজাহারে উল্লেখ করেছেন।<br />  <br /> মামলার বিষয়ে কফিল উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৬ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে সবকিছু ছিলো, এটা সবাই জানে। আমি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোন পদ পদবীর কোন নেতা না। এক সময় বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিলে যেতাম। আবেগে তাদের মিছিলে যেতাম। যখন ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে তখন বিবেকের তাড়নার ছাত্রদের আন্দোলনে ছিলাম। ছাত্র আন্দোলনে আমার বিবেক জাগ্রত হয়েছে। ছাত্রদের পক্ষ হয়ে ওদের বিরোধিতা করছি। তাই মামলা নিয়ে বিভিন্ন অপ্রপচার চালাচ্ছে।’</p> <p>আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলার বিষয়ে কফিল বলেন,‘প্রোগ্রামে গিয়ে নেতাকে দেখে ছবি তুলার আগ্রহ হয়। সে আগ্রহ থেকে ছবি তুলেছিলাম। এগুলো ছিলো দেখানোর জন্য।’</p> <p>তিনি আরো বলেন,‘আওয়ামী লীগ আমলে অনেক নির্যাতিত হয়েছি। কারাগারে ছিলাম। আমাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’<br />  <br /> রাইয়ানের বিরুদ্ধে ও নিজের নামের মামলার বিষয়ে মামলার বিষয়ে কফিল বলেন, ‘রাইয়ান ছেলেটা আন্দোলনের ভিকটিম আমিও ভিকটিম। সেইম সময়ে। রাইয়ান আমাকে চিনেনা আমিও তাকে চিনি না। রাইয়ানের সঙ্গে আমার কথা চলতেছে। রাইয়ানের মামলায় আমাকে আসামি করেছে একটি রাজনৈতিক গ্রুপ। তবে রাইয়ানকে কেন আসামি করা হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিষয়টা তুলে আসার জন্য। কারণ রাইয়ানকে আসামি না করলে বিষয়টা হতো না। রাইয়ান মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করছে। রাইয়ানের বিষয়টা আমি সমাধান করতে পারবো। রাইয়ানের মামলার জন্য আমি পলাতক।’</p>