<p style="text-align:justify">কক্সবাজারের রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ সৈকতের বালুচরে পাঁচ একর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে সৈকতের সরকারি এলাকা দখলমুক্ত করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের নির্দেশে রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলের নেতৃত্বে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। অভিযানে বালুচরে গড়ে তোলা অন্তত ৩০টি অবৈধ কটেজ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগ সরকারের আমলা ও প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতায় সাগরপাড়ের সরকারি জমি দখল করে মারমেইড ইকো রিসোর্ট নাম দিয়ে অবৈধভাবে পর্যটন ব্যবসা করে আসছিলেন একজন ব্যবসায়ী।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ রয়েছে, আনিসুর রহমান সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ী পেঁচারদ্বীপ সৈকতের সহস্রাধিক ঝাউগাছ কেটে সাগর তীরের বালুচর দখলে নিয়ে নির্মাণ করেন অর্ধ শতাধিক কটেজ। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে সেখানে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলেন এই ব্যবসায়ী।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবারের উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদকর্মীদেরও মারমেইড ইকো রিসোর্টে কর্মরতরা হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে রিসোর্টের লোকেরা বাঁধা দেন। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হন তারা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, ওই ব্যবসায়ীর পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি এলাকাবাসী। স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সহযোগিতায় এই রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছিল। এমনকি, ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান সোহাগের পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে এতদিন হয়রানি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">তবে এসব বিষয়ে ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান সোহাগের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।</p>