<p>বাগেরহাটের চিতলমারীর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সিন্ডিকেটপ্রধানসহ তিনজনকে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা রয়েছেন।</p> <p>শিবপুর বেপারীপাড়া গ্রামের মো. বাবুল হোসেনের ছেলে এস এম নান্টু হাসান বাদী হয়ে শুক্রবার চিতলমারী থানায় মামলা করেন। এই মামলায় আরো ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলিল লেখক শেখ শামিম আনোয়ার বাবু (৫১), সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি খান মনিরুজ্জামান (৫১) ও দলিল লেখক সুব্রত অধিকারীকে (৪২) হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p>সুব্রত বাগেরহাট সদরের খালিশপুর গ্রামের কালিপদ অধিকারীর ছেলে, খান মনিরুজ্জামান চিতলমারী উপজেলার চিতলমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ খানের ছেলে এবং শামিম শিবপুর বেপারীপাড়া গ্রামের মৃত শেখ মোস্তফা আনোয়ারের ছেলে।</p> <p>মামলার বাদী জানান, তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনী সাবরেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালিয়ে নগদ তিন লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ তিনজনকে আটক করে। চিতলমারী উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখক সমিতির ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিরীহ মানুষের কাছ থেকে নানা ফাঁদ পেতে প্রতারণামূলকভাবে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। </p> <p>নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সাবরেজিস্ট্রার অফিসকে ঘিরে ৫৫-৬০ জন দলিল লেখক রয়েছেন। মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেন তারা। তাই ৫ আগস্টের আগে এই সিন্ডিকেটের সভাপতি সম্পাদক ছিলেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোক এবং ৫ আগস্টের পর সভাপতি সম্পাদক হয়েছেন স্থানীয় বিএনপির দুই নেতা। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। </p> <p>চিতলমারী উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার সমীর কর্মকারকে বারবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।</p> <p>জেলা সাবরেজিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস ফোনে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। অফিস বন্ধ তাই রবিবারের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। দলিল লেখকরা অনিয়ম-দুর্নীতি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’</p>