<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দাদনের ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা দামের গরু নিয়ে গেছেন এক শ্রমিক নেতা। যমুনা নদীর বাঁধে আশ্রয় নেওয়া এক শ্রমিকের বাড়ি থেকে পরিবারের শেষ সম্বল গরু জোর করে নিয়ে যান ওই নেতা। </p> <p>এ ঘটনায় ওই শ্রমিকের বাবা বাদি হয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। </p> <p>ভুক্তভোগী ওই শ্রমিকের নাম আবু তালেব। তিনি উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন জনপদ ভান্ডারবাড়ি গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত শুকুর আলী ওরফে পাগাইলার ছেলে। </p> <p>অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবু তালেবের বাবা শুকুর আলীর (৮৬) এক সময় বসতবাড়ি, ধান, গরু, জমিসহ সবই ছিল। কিন্ত রাক্ষুসে যমুনা তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। যমুনা নদীতে সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভান্ডারবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেন তিনি। বয়সেরভারে ন্যুব্জ শুকুর আলী অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরেন ছেলে আবু তালেব। দিনমজুরের কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আবু তালেব।</p> <p>এ অবস্থায় প্রায় পাঁচ মাস আগে যমুনা নদীর তীররক্ষা প্রকল্পের কাজে অগ্রিম শ্রম বিক্রি করে আবু তালেব একই এলাকার ভুতবাড়ি গ্রামের শ্রমিক নেতা আল-আমিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাদন নেন। কিন্তু আল-আমিনের কাজ করে টাকা শোধ দিতে পারেনি আবু তালেব। বিষয়টি নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর উভয় পরিবারের মধ্যে বৈঠক হলে আবু তালেব ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। আর বাকি টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত সময় মতো সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি আবু তালেব। ফলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আবু তালেবের বাড়ি থেকে গরুটি নিয়ে যায় আল-আমিন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় আবু তালেবের বাবা শুকুর আলী বাদি হয়ে আল-আমিন ও তার ছেলে জানে আলমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।</p> <p>এ বিষয়ে শ্রমিক সর্দার আল-আমিন বলেন, শ্রমিকের কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজও করে দেয়নি এবং টাকাও দিচ্ছে না। অনেক দেন-দরবার করে কাজ হয়নি। তাই আবু তালেবের বাড়ি থেকে গরু নিয়ে এসেছি। সে টাকা পরিশোধ করে গরুটি ফেরত নিয়ে যাবে।</p> <p>ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন পুলিশ (এসআই) কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।</p>