<p>কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ছাত্র-গণআন্দোলনের হামলা মামলার আসামিরা।</p> <p>সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।</p> <p>মাহবুবুর রহমান হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া এলাকার বাসিন্দা এবং কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক হিমছড়ির স্টাফ রিপোর্টার ও মহেশখালী কলেজের প্রভাষক।</p> <p>তিনি জানান, বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার পথে দক্ষিণ রাজুয়ারঘোনা এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে ওসমান, তার ভাতিজা ফরিদুল আলম, হাসান আলীর ছেলে জাকের উল্লাহর নেতৃত্বে ৮/৯ জন অস্ত্রধারী লোক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বন্দুক, লোহার রড, লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে প্রহার করে। <br />  <br /> তবে স্থানীয় লোকজন ও হামলাকারীদের কতিপয় স্বজনরা এগিয়ে আসায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সাংবাদিক ও প্রভাষক মাহবুবুর রহমান।</p> <p>তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।</p> <p>এ সময় তার মুঠোফোন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।</p> <p>হোয়ানক ইউনিয়নের হামিদুর রহমান পাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাফর, তার ভাতিজা জায়েদের পরিকল্পনায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন আহত মাহবুবুর রহমান।</p> <p>তার মতে, আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাহবুবুর রহমানের পরিবারিক প্রায় পাঁচ একর লবণ জমি জবর দখল করে রেখেছিল জাফর ও ওসমানসহ অন্যরা। এ নিয়ে কয়েক বছর আগে মাহবুবুর রহমানের এক ভাইকে হামলা করেছিল। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করায় ক্ষুব্ধ ছিল অভিযুক্তরা। এর রেশ ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের ওপর এই হামলা করা হয়েছে।</p> <p>অভিযুক্ত জাফর ও হামলার নেতৃত্বদানকারী ওসমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় দায়েরকৃত মামলার আসামি।</p> <p>এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, সাংবাদিক ও প্রভাষক মাহবুবুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।</p>