<p style="text-align:justify">এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষে নিজ দলের প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামের এক যুবদল কর্মী। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।</p> <p style="text-align:justify">নিহত বিলাল আহমদ মুন্সী সিসিকের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিম বহর আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। পরে এ নিয়ে এলাকায় দুইপক্ষে বিভক্তি হয়। সালিশি বৈঠকেও সমাধান হয়নি। পরে একপক্ষ নেন যুবদল-ছাত্রদলের সিলেটের শাহজালাল উপশহর গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী। ওই পক্ষের ওপর হামলা হওয়ায় তার বদলা নিতে উপশহর গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী বাহুবল এলাকায় যান। এতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলাল আহমদ গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। </p> <p style="text-align:justify">হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতের হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে বিলালের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। বিকেল ৩টায় শাহপরান গেইট এলাকায় সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে স্থানীয় লোকজন ও যুবদল নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এসময় তারা বিলাল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা অবরোধ তুলে নেন।</p> <p style="text-align:justify">এসব সত্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দাফন শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।’</p>