<p>বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌবহরে যুক্ত হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত আরো একটি যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা বিষখালী’। শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাহাজটির অধিনায়কের নিকট কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।</p> <p>বিষখালী নদীর নামে নামকরণ করা বানৌজা বিষখালী জাহাজটি ১৯৭৮ সালে নৌবাহিনীতে কমিশনিংয়ের পর থেকে সব অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সফলতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ ৩৬ বছর দেশের জলসীমার সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকার পর জাহাজটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী হতে ডি-কমিশন করা হয়। </p> <p>পরবর্তীতে খুলনা শিপইয়ার্ডে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর নতুন করে জাহাজটি নির্মাণের লক্ষ্যে কিল লেয়িং করা হয়। নির্মাণ শেষে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। </p> <p>বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নব সংযোজিত জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫১.৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭.৫ মিটার। জাহাজটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। জাহাজটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এবং একটি ৪০ মিলিমিটার বফর গান, দুটি ১২.৭ মিলিমিটার হেভি মেশিন গান, মাইন লেইং রেল, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স রাডার, জিপিএস, ইকো-সাউন্ডার সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।</p> <p>নৌবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও সক্ষম নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সর্বোপরি ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজনে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী অপরিহার্য।’</p> <p>এর আগে নৌবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার তাকে স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর একটি চৌকস দল নৌবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ওই অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক ও অসামরিক বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।</p>