<p>মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের বাজারে গরুর মাংসের চাহিদা থাকায় রপ্তানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বাইরের দেশগুলো। তবে আমদানি নয়, দেশে যারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।</p> <p>রবিবার (১ ডিসেম্বর) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) সদ্য সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p>বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।</p> <p>বিএলআরআইয়ের আবিষ্কার সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরিদা হক বলেন, বিএলআরআই বাংলাদেশের একটি সম্পদ। এখানে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার করেন। সুশীল সমাজ, উদ্যোক্তা, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিএলআরআইয়ের আবিষ্কার পৌঁছে দিতে রাজধানীর বড় কোনো মিলনায়তনে সেমিনার আয়োজনেরও পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।</p> <p>ফরিদা হক আরো বলেন, 'আমি একটি বিষয় লক্ষ করছি, বিএলআরআই শুধু জাইকার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু জাইকা ছাড়াও আরো অনেক অর্গানাইজেশন রয়েছে যাদের সঙ্গে কার্যক্রম চালালে তার গবেষণা কার্যক্রম আরো সমৃদ্ধ হবে। </p> <p>কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষক, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারি, বিএলআরআইয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা, খামারি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম হতে আগত প্রতিনিধিরা।</p> <p>কর্মশালায় এবার ৬টি সেশনে সর্বমোট ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। সোমবার বিশেষজ্ঞ সুপারিশ পর্যালোচনা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী চলমান বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪ শেষ হবে।</p>