<p>আসল তাবলিগওয়ালাদের মসজিদে মসজিদে আমাল ও বিশ্ব ইজতেমা করার লক্ষ্যে তাবলিগ জামাত কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর দুই বিষয়ে দাবি জানিয়ে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।</p> <p>সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে তাবলিগ জামাত কেরানীগঞ্জ মডেল থানা কমিটির প্রায় শতাধিক সাথী নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে এ স্মারকলিপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইনের কাছে দেওয়া হয়।</p> <p>মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী স্বাক্ষরিত লিখিত স্মারকলিপির দাবি দুটি হলো- কোনোরূপ যৌক্তিক কারণ ছাড়াই দাওয়াত ও তাবলিগের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ (দা.বা.) বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। বিগত ৭ বছর যাবৎ আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে উনার মূল্যবান বক্তব্য শোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি অথচ তিনি ইতিপূর্বে বিশ্ব ইজতেমার প্রধান বক্তা ছিলেন এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন। তিনি বাধাহীনভাবে সারা বিশ্বে তাবলিগের কাজে সফর করেছেন। তাই এ বছর যাতে আমাদের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ (দা.বা.) অবশ্যই বাংলাদেশে আসতে পারেন সেজন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।</p> <p>বিগত ৭ বছর যাবৎ মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা আমাদের মূলধারার সাথীদের মসজিদে দাওয়াতের কাজ বন্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে মারপিট, হত্যা ও জুলুম-নির্যাতন এবং কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা ইসলামি শরিয়ত, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার স্বার্থে দেশের সকল মসজিদে বাধাহীনভাবে তাবলিগের কাজ পরিচালিত হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট আদেশ জারির জন্যও জোর দাবি জানাচ্ছি।</p> <p>লিখিত স্মারকলিপিতে তিনি আরো বলেছেন, দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ। আজ থেকে প্রায় এক শ বছর আগে ভারতের দিল্লিস্থ নিজামুদ্দীন বাংলাওয়ালী মসজিদ হতে হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ:) রসুলুল্লাহ (সা.) ও ছাহাবা (রা.)-এর তরীকার অনুসরণে এ মেহনত শুরু করেন। বর্তমানেও উক্ত নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজ মসজিদ হতে বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ কান্দলভী (দাঃ বাঃ) এর মাধ্যমে এটি সমগ্র বিশ্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং ক্রমাগত প্রচার-প্রসার লাভ করছে। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজকে যারা অনুসরণ করছেন তারাই আসল তাবলিগওয়ালা।</p> <p>দাওয়াত ও তাবলিগের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ (দা. বা.) সম্পর্কে দেওবন্দ মাদরাসাকে উদ্ধৃত করে মাওলানা জুবায়েরপন্থীগণ এবং তাদের প্ররোচনায় কিছু আলেম অসত্য তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। প্রকৃত বিষয় হলো ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার কিছু ব্যক্তির সঙ্গে উনার মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে দেওবন্দ মাদরাসার সর্বোচ্চ কর্ণধার বিশ্ব বরেণ্য আলেম হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানী (দা. বা.) গত ফেব্রুবারি মাসে বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।</p>