<p style="text-align:justify">নাটোরের সিংড়া উপজেলায় জামায়াত নেতাকে অপহরণের পর হাতুড়িপেটা ও নির্যাতনের ঘটনায় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আজ মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসমাউল হক।</p> <p style="text-align:justify">ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক সিংড়া উপজেলার করচমাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি।</p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ সহচররা মাইক্রোবাসে এসে আব্দুর রাজ্জাকের পথরোধ করে অপহরণ করে। পলকের নির্দেশে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম ভোলা, মোজাম্মেল হোসেন, শাহজাহান আলী, আব্দুর রউফ বাদশাসহ অন্যান্য সহযোগীরা হাতুড়ি দিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে উপর্যপুরি আঘাত করে হাত-পা ভেঙে তাকে ফেলে রেখে যায়।<br />  <br /> অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ছাতারবাড়িয়া এলাকায় একটি ইসলামী অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ব্যক্তিতের নাম উচ্চারণ করে আব্দুর রাজ্জাককে দোয়া করার নির্দেশ দেন প্রধান অতিথি পলক। নির্দেশ অমান্য করলে সকলের উপস্থিতিতে পলক তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় দীর্ঘদিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।</p> <p style="text-align:justify">সিংড়া থানার ওসি মো. আসমাউল হক বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকসহ ২৯ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’</p>