<p>মেঘনা নদীতে মৎস্য বিভাগের অবৈধ জাল উদ্ধার অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহামুদুল হাসানসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠিরমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মৎস্য বিভাগের আহত কর্মী তানজিলা, জাফর, রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা জানান, মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় অবৈধ জাল উদ্ধারে মৎস্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় মেঘনা নদীতে পাতা একটি অবৈধ মশারি জাল উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয় সকেট জামালের ভাগ্নে মো. শাহিনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের ওপর হামলা চালায়। </p> <p>ভোলা সদর উপজেলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম মাহামুদুল হাসান, ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম (৪৫), জামাল (৩০), তানজিলা (২৮), জাফরসহ (৩০) পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মৎস্য বিভাগের টিমের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান। সন্ত্রাসীদের হামলায় অভিযান সম্পন্ন না করেই তাদের আহত অবস্থায় ফিরে আসতে হয়। পরে তাদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।</p> <p>ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, মৎস্য বিভাগের একটি টিম নিয়মিত অভিযানে যায়। এ সময় নদীর মধ্যে পাতা একটি অবৈধ জাল তাদের নজরে আসে। পরে জেলেদের সঙ্গে কথা বলার সময় অতর্কিতভাবে অভিযানকারী দলের ওপর হামলা চালায় একটি চক্র। এতে পাঁচজন আহত হন। যারা সরকারি কাজে বাধা ও হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> <p>ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ কালের কণ্ঠকে জানান, নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযানে হামলার ঘটনায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। মামলার আলোকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।</p>