<p>কক্সবাজারে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি বিষয়ক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় ও সম্প্রীতি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>বক্তারা বলেন, দেশীয় পর্যটনের রাজধানী কক্সবাজার অনন্য ধর্মীয় সম্প্রীতির তীর্থ কেন্দ্র। যুগ যুগ ধরে সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছেন। কক্সবাজারের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতিকে লালন করে আসছে, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বা দুষ্কৃতিকারী যেন এই ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে না পারে এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।</p> <p>তারা আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে কক্সবাজারের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতিকে লালন করে আসছে, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। সবার আগে দেশ। দেশের লাল-সবুজের পতাকা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো আপোষ করা যাবে না। কারণ দেশটা কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয়, দেশটা সবার। এ দেশের উন্নয়নের জন্য সকল ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতা এসেছে সকল ধর্মের মানুষের ত্যাগ- তিতিক্ষার মাধ্যমে। আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ তথা কক্সবাজার দেখতে চাই। কোন ষড়যন্ত্রই কক্সবাজারের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না। যদি কেউ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়- তাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।</p> <p>তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পর দেশকে অস্থিতিশীল করতে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি চক্র অব্যাহত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ ধৈর্যের মধ্য দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। পাশাপাশি ৯টি উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বন্ধন সুদৃঢ় করতে সভা-সমাবেশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে ধর্মীয় বিভাজন যাতে কেউ করতে না পারে এজন্য প্রশাসন ও থানা পুলিশকে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।</p> <p>মতবিনিময়সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হক, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক, নেজামে ইসলামী পার্টির কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, অধ্যক্ষ মাওলানা রহমত সালাম, কক্সবাজার জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, সহসভাপতি রতন দাশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক অজিত দাশ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দীপু, কক্সবাজার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাশ গুপ্ত, বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি,রবীন্দ্র বিজয় বড়ুয়া,এডভোকেট বাপ্পী শর্মা, দোলন ধর, অরুপ শর্মা,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি সাহাব উদ্দিন, শাহিদুল ওয়াহিদ সাহেদ, আতাহার সাকিব প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।</p>