<p>কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে ৫০ ফুট উচ্চতা আর ১৪ ফুট প্রস্থের পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি এক দানব। পাশে রয়েছে ছোট আরো দুটি দানব। এই দানব দেখে হতবাক না হয়ে পারছেন না সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফিরতে শুরু করেছেন সাজেকে আটকা পর্যটকরা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733305656-1aa55138d78c0d4710d039467ed451ef.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফিরতে শুরু করেছেন সাজেকে আটকা পর্যটকরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/04/1453775" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্লাস্টিক বর্জ্যে সমুদ্র দূষণ রোধে জনসচেতনতা তৈরির জন্য তৈরি করা হয়েছে এ দানব। এ তিনটি দানব তৈরি করা হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, উখিয়ার ইনানী সৈকত, রামু ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ১০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে। এই দানব দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, প্লাস্টিক রিসাইকেল না করলে তা দানবের মতো বিশাল সমস্যা নিয়ে ফিরে আসবে। ইতিমধ্যে সেখানে ১৫ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।<br />  <br /> বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি এই দানবের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।<br />  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মদ্যপ অবস্থায় আটক নারী ড. ইউনূসের মেয়ে নন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733305014-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মদ্যপ অবস্থায় আটক নারী ড. ইউনূসের মেয়ে নন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/04/1453774" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> এ সময় তিনি বলেন প্লাস্টিক যে দানবের মতো সমুদ্র ও জনজীবন ধ্বংস করছে এবং ক্রমাগত এর ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেতে থাকে, এই সতর্কতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য নির্মিত এই ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।<br />  <br /> বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, প্রায় ১ মাস ধরে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় ১০ মেট্রক টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ করেছেন এ 'প্লাস্টিক দানব। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ।</p> <p>তিনি আরো বলেন আগামী ৪ মাস এটি প্রদর্শনীর উন্মুক্ত থাকবে। ব্যতিক্রমি এই উদ্যোগের কারণে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণরোধে জনসচেতনতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আগত পর্যটকরা।</p> <p>শামীম হাসান নামের একজন পর্যটক জানান, পরিবেশ রক্ষায় এটা এক অসাধারণ পদক্ষেপ। এরকম দেশের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে দিলে পরিবেশ দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি মনে করেন।</p> <p>এমন উদ্যোগ শুধু পর্যটন নগরী কক্সবাজার নয় সারা দেশে পরিবেশ রক্ষায় মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলানোর উপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা আয়োজকদের।</p>