<p style="text-align:justify">যশোরের অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১১ জন কর্মচারীর পদ থাকলেও কাজ করেন মাত্র ৪ জন। বাকি ৭টি পদ রয়েছে শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলো শূন্য থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের অনুরোধ করেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে কর্মচারী পদে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে তা চরমে পৌঁছেছে। উচ্চমান সহকারী তথা হিসাবরক্ষক থাকলেও অফিস সহকারী তথা কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদ ২টি শূন্য রয়েছে। নেই স্প্রেয়ার মেকানিক পদে ১ জন, পিপিএম পদে ২ জন, অফিস সহায়ক ১ জন, অফিস গার্ড/নিরাপত্তা প্রহরী পদে ২ জন থাকলেও সম্প্রতি অসুস্থতার কারণে ১ জন ছুটিতে রয়েছেন। ড্রাইভার (আউট সোর্সিং) থাকলেও নেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জন। সব মিলিয়ে ১১ পদের স্থলে রয়েছেন ৪ জন কর্মচারী।</p> <p style="text-align:justify">কর্মরত কর্মচারীরা বলেন, জনবল সংকট বা শূন্য পদের কারণে কাজের চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রুটিন কাজের পাশাপাশি শূন্য পদের কাজ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একপ্রকার পরিবার থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। সাধারণ কর্মচারী হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট শূন্য পদগুলো পূরণের অনুরোধ করছি।</p> <p style="text-align:justify">বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের কয়েকটি টেবিল জনবল সংকটের কারণে ফাঁকা পড়ে আছে। বহিরাগত পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করানো হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের কৃষক মহর আলী বলেন, অভয়নগর উপজেলা কৃষিতে যশোর জেলার মধ্যে ব্যাপক ভূমিকা রেখে থাকে। আর এই উপজেলার কৃষি অফিসে জনবল সংকট থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদগুলো পূরণ করা প্রয়োজন।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ১১ জন কর্মচারী পদে ৪ জন কর্মরত আছেন। যে কারণে সেবাপ্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে। শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদগুলো পূরণ করা হলে সেবার মান কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। উপকৃত হবে এ উপজেলার হাজার হাজার কৃষক।</p>