<p>কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে গভীর রাত থেকে সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত থাকে এ ঘন কুয়াশা। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে সড়কপথে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের সাথে কনকনে বাতাস যুক্ত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খেটেখাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষেতমজুরসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।</p> <p>আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে দেখা গেছে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ছড়াতে পারছে না। কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে সূর্য। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের তাপমাত্রা থাকে ১৩-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, উপকূলে এ অবস্থা আগামী কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।<br />   <br /> গত চারদিন ধরে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘন কুয়াশা এবং এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া যুক্ত রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে আগুনে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর, সাধারণ মানুষ ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো পুরাতন গরম কাপড় কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন। কোথাও খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামের নিম্নবিত্তরা।</p> <p>শীতের সঙ্গে হিমশীতল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। শীতের এ বৈরী আচরণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকছে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি অনেক কম।</p> <p>বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের রিকশাচালক বিমল পরামানিক বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যেও রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে, কারণ সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা জোগাড় করতে হবে।’</p> <p>বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়্যৈদ আমারুল বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট, বুকের ঠাণ্ডাজনিত, নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের ঠাণ্ডা ও সর্দি-জ্বরের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।’</p>