<p>আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্যকাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় অন্তত ৩০টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের বিরোধ চলছে। এরই জেরে বুধবার সকালে ইব্রাহিম ও জিন্নাহর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে হামলা-পাল্টাহামলা চালিয়ে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ও ১০ দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ জন আহত হলে তাদের নগরকান্দা-ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। </p> <p>ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদরাসা বাজারে আমার ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে জিন্নাহর শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদরাসা বাজারে এসে আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করেন। এ সময় আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। পরদিন সকালে আবারও জিন্নাহর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান। তখন আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে তারা পালিয়ে যান।’</p> <p>জিন্নাহ সরদার বলেন, ‘আমি ব্যাবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিমের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।’</p> <p>নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছু বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>