<p>নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা আরএস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।</p> <p>বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফতুল্লার পঞ্চবটি সড়ক অবরোধ করে তারা এই বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও অবরোধের ঘোষণা দেন তারা। </p> <p>শ্রমিকদের দাবি, ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ হাজিরা বোনাস ও নাইট বিল দিতে হবে। এ দাবি মেনে নিয়ে মালিককে সড়কে এসে ঘোষণা দিতে হবে। নয়তো সেনাবাহিনী এসে সমাধান করে দিতে হবে। আর নয়তো তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। </p> <p>আরএস কারখানার মালিক মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, আমাদের কারখানায় তিন হাজারের বেশি নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। কখনো শ্রমিকদের ঠকাইনি। নির্ধারিত সময়ে বেতন দিয়েছি। এ মাসেও নির্ধারিত সময়ে বেতন দেওয়া হয়েছে। বুধবার জাপানী বায়ার আসার কথা ছিল। সকালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন। কিন্তু শ্রমিকরা বিদেশি বায়ারের সামনে উল্টো আচরণ করলেন। তাদের দাবি-দাওয়া থাকলে আমরা আলোচনা করে সমাধান করব।</p> <p>তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা আমাদের কথা না শুনে বায়ারদের সামনে তারা কাজ বন্ধ করে কারখানা থেকে বেরিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। আমি মনে করি, পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন করে শিল্প-কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিদেশিরা যাতে মনে করেন এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য নিরাপদ নয়। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখার চেষ্টা করছি এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি আইন অনুযায়ী মেনে নেব।</p> <p>এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা দুপুর থেকেই চেষ্টা চালিয়েছি সমস্যা সমাধানের জন্য। কিন্তু শ্রমিকরা আমাদের কথা কোনোভাবেই শুনেনি। সন্ধ্যায় শ্রমিককের আবারও বুঝিয়ে সড়ক থেকে নিয়ে কারখানায় গিয়ে কথা বলি। তারপরও তারা সড়ক ছাড়েনি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর তারা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আশা করি, সমাধান হবে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। </p>