<p style="text-align:justify">চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর তিন শিক্ষার্থী  উদ্ধার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের দৃষ্টিনন্দন পার্কে চলমান ইসলামী মাহফিলের গেট থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। সময়মতো মাদরাসা না যাওয়ায় শিক্ষকদের ভয়ে তারা  তিন দিন ঘোরাঘুরি করে পার করে। </p> <p style="text-align:justify">শিক্ষার্থী তিনজন হলো- সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের মো. শাহলালের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (১২), একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. শাহীন (১৩) ও  মো. কুড়ানের ছেলে মো. আরাফাত (১৪)। ওই তিন শিক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদিরপুর দারুল উলুম কওমি আবাসিক মাদরাসার সহপাঠী শিক্ষার্থী।</p> <p style="text-align:justify">জিডি, অভিভাবক, মাদরাসা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশে বের হয় তিন শিক্ষার্থী। কিন্তু তারা মাদরাসায় না গিয়ে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে শিক্ষার্থী শাহীনের মামার বাড়ি যায়। সেখানে রাত্রি যাপন করে পরদিন ৯ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় তিন বন্ধু আবারও মাদরাসার উদ্দেশে বের হয়। কিন্তু তারা আবারও মাদরাসায় না গিয়ে মহারাজপুরের একটি মসজিদে রাত্রিযাপন করে। </p> <p style="text-align:justify">পরদিন ১০ ডিসেম্বর তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে পৌঁছে ও নিউমার্কেট জামে মসজিদে রাত্রিযাপন করে। পরদিন গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতেও তারা নিউমার্কেট মসজিদে রাত্রিযাপন করে। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের দেওয়া খবরে পুলিশ তাদের বারঘরিয়ার  মাহফিল থেকে উদ্ধার করে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে গত ৯ ডিসেম্বর নিখোঁজের পর অভিভাবকরা তাদের সন্ধান শুরু করে। শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ ও মাইকিং। গত বৃহস্পতিবার রাতেও ব্যাপক মাইকিং করা হয়। জনমনে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ। বুধবার দুজনের অভিভাবক ও বৃহস্পতিবার অপর একজনের অভিভাবক থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।</p> <p style="text-align:justify">জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, মূলত সময়মতো মাদরাসায় না যাওয়ার কারণে ভীত তিন শিক্ষার্থী বাড়ি বা মাদরাসায় না গিয়ে তিন দিন মসজিদে মসজিদে ঘুরে সময় পার করে। শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসবাদে উল্লেখযোগ্য অন্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ওই মাদরাসায় পড়াশানোর চাপ রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম নুরুল কাদির সৈকত বলেন, ঘটনা জানার পরই পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। জিডি হওয়ার পর তৎপরতা বাড়িয়ে শিক্ষার্থী তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।</p>