<p>মাত্র ছয় বছর বয়সী একমাত্র শিশুছেলে মুরসালিন সরদার নিখোঁজ হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি (পাইনি)। ছেলে মুরসালিনকে ফিরে পাওয়ার আশায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আজও সড়কের পাশে বসে চোখের জলে বুক ভাসান তার মা।</p> <p>মুরসালিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুরসালিন উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের আমডাকুয়া গ্রামের বাচ্চু সরদারের ছেলে। সে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে ছয় বছর বয়সী মুরসালিন নিজ বাড়ি থেকে বাড়ির পাশে অবস্থিত মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১৫ দিন আগে বাবা হন নাহিদ, সড়কে গেল প্রাণ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/13/1734075590-d910c0bfa749cd12cea822ced3c1f8b7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১৫ দিন আগে বাবা হন নাহিদ, সড়কে গেল প্রাণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/13/1457025" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এলাবাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্তানকে না পেয়ে ওই দিনই রুবিনা বেগম নিখোঁজের এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বেশ কিছুদিন খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে কোথাও না পেয়ে তার বাবা মো. বাচ্চু সরদার (১৮ আগস্ট) বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় অপহরণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে চারজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।</p> <p>শিশু মুরসালিন নিখোঁজের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে কাশিয়ানী থানা পুলিশ উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের আমডাকুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ মুন্সীর (ধলা মিয়া) ছেলে মো. আসাদ মুন্সী (৬০) ও সত্তার সরদারের ছেলে মো. হারুন সরদার (৫৭) নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তারা একসময় জামিনে মুক্তি পান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোস্ট গার্ডের নিরাপত্তায় পণ্যবাহী ৭ ট্রলার গেল সেন্ট মার্টিনে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/13/1734068841-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোস্ট গার্ডের নিরাপত্তায় পণ্যবাহী ৭ ট্রলার গেল সেন্ট মার্টিনে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/13/1457012" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২ আগস্ট দুপুরে শিশু মুরসালিন বাড়ির পাশে সাজাইল বাজার জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাজাইল পুরনো ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের কাছে পৌঁছলে সাদা একটি মাইক্রোবাসযোগে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন লোক এসে মুরসালিনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে দ্রুত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দিকে নিয়ে যায়।</p> <p>ঘটনার পর চার বছরেও শিশু মুরসালিন নিখোঁজের রহস্য উন্মোচন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। মামলাটি আজও গোপালগঞ্জ পুলিশের সিআইডি বিভাগের তদন্তাধীন রয়েছে।</p>