<p>সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।</p> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলার বিদায়সুলপানি গ্রামের রিয়াজ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শরিষপুর গ্রামের জয়দু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৪০) ও বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পূর্ব জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শামীম আহমদ (৩২)। </p> <p>শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p>সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রতিহত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা সদরে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেন। তারা বাসিয়া ব্রিজের ওপর আল-হেরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা আমজাদ আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করেন। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেন তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। পরে তাকে ধাওয়া করে ভাঙচুর করা হয় আল-হেরা শপিং সিটিও। এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা ছিল। ঘটনার পরদিন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে। শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।</p> <p>বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া তাদেরকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে তাদের সিলেট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।</p>