<p>দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার এখন সরগরম হয়ে উঠেছে। পর্যটকে ভরে গেছে সৈকত শহর। সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিনের সুযোগে দেশের নানা প্রান্তের ভ্রমণকারীরা বেড়াতে ছুটে এসেছে কক্সবাজারে। সাগর পাড়ের হোটেল মোটেলে যেন ঠাঁই নেই। </p> <p>ছুটির দিনে দেশের যেকোনো প্রান্তের ভ্রমণপিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকে কক্সবাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কোনো রুম খালি নেই বলে জানা গেছে। রুম না পেয়ে অনেক পর্যটককে ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরতেও দেখা গেছে। </p> <p>এদিকে আশানুরূপ পর্যটক আসায় এবারের ছুটিতে শতকোটি টাকার বেশি ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল মোটেল গেস্টহাউস রিসোর্ট কোথাও কোনো রুম খালি নেই। আগামী ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১০ শতাংশ রুম খালি থাকলেও পরের থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শতভাগ রুম অগ্রিম বুকিং করা। অর্থাৎ আগামী ১০ দিনে সৈকতে অন্তত ৫ থেকে ৭ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে জানান হোটেল মালিকেরা।</p> <p>কক্সবাজার হোটেল, মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এতদিন কিছুটা পর্যটকের ভাটা থাকলেও ডিসেম্বর মাসে পর্যটক বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই লম্বা ছুটি কাটাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসেছে। </p> <p>তিনি জানান, আমাদের হোটেল প্রায় রুম শতভাগ বুকিং। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না।</p> <p>সী গাজীপুর রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল জব্বার বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে আমাদের হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। এর চাপ জানুয়ারি ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকবে।</p> <p>কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক রিয়াদ বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছি। রুম বুকিং না পেয়ে এখানে এসে বিপদে পড়েছি। কোনো রুম পাচ্ছি না। কটেজে কিছু রুম খালি আছে। এগুলো মানসম্মত নয় এবং দামও বেশি।<br />  </p>