<p>ময়মনসিংহের ভালুকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাস্টারবাড়ী এলাকায় হামলার ওই ঘটনাটি ঘটনা ঘটে। </p> <p>ওই সময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মাঝে তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ১৪টি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।  </p> <p>পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হবিরবাড়ী এলাকায় দেড় শতাধিক কারখানার রয়েছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় আব্দুল ওয়াদুদের পক্ষে সাইফুল ইসলাম জামিরদিয়া এলাকায় অবস্থিত রাইদা নামের পোশাক কারখানার থেকে ট্রাকভর্তি ঝুট বের করেন। অপরপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝুট বোঝাই ওই ট্রাক ছিনতাইয়ের জন্য হামলা চালায়। </p> <p>এ সময় বাধা দিলে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মজিবর রহমান (৪৭), শহিদ (৩৮), ফারুক (৩৫), সাকিব (৩০), নাইম (২৪), ইমসাইল (৫৫), সাহিন (৩৮), মোস্তফা (৪৪), নুর ইসলাম (৩৪), সুজন (৩২) আনোয়ারসহ (৩০) কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। </p> <p>আহতদের মাঝে মজিবর, নুর ইসলাম ও সুজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে থানা ও শিল্প পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলা ও অগ্নিসংযোগের ওই ঘটনার জন্য একপক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছে।</p> <p>স্থানীয় জিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, ১৫ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর দুই দফা হামলা করে ঝুটের ট্রাক ছিনতাই করার চেষ্টা করা হয়েছিল। </p> <p>রাসেল মণ্ডল নামের একজন জানান, ঝুট ব্যবসা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। ঘটনার সময় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা বেশ কিছু মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। </p> <p>ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল হুদা খান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।</p>