<p>ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামন তিতাসসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সদর উপজেলা এলাকা থেকে তাদের আটক করে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫।</p> <p>বাকি আটকরা হলেন তিতাসের ছোট ভাই সুমন মিয়া (২৫) ও চেয়ারম্যানের সহযোগী তারেক সরদার (৪০)। পরে তাদেরকে কক্সবাজার থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব।</p> <p>থানা সূত্র জানায়, ১০ ডিসেম্বর কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ী গ্রামের মৃত আলেম শেখের পুত্র রুবেল শেখ বাদী হয়ে তিতাসকে প্রধান আসামি করে আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরো ৭-৮ জন।</p> <p>স্থানীয় সূত্র জানায়, ৪ ডিসেম্বর কৃষ্ণপুর বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তিতাস ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন ফকিরের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণ করা হয়। তিতাসের সমর্থকের গুলিতে বিল্লাল ফকিরের সমর্থক মো. রুবেল হোসেনকে প্রকাশ্য গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। ওই সময় রুবেলকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে রুবেল শেখ ১০ ডিসেম্বর বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা করেন।</p> <p>সদরপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ তাদের আটক করে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করেছে। পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে সদরপুর থানা থেকে আটকদের বিরুদ্ধে মামলার কপি পাঠানো হয়। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা নিজ এলাকা থেকে আত্মগোপন করে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন।</p>