<p>সেন্ট মার্টিন সমুদ্রসৈকতে দুই দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে ৩০ মণ প্লাস্টিকবর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এই অভিযানে কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, স্থানীয় লোকজনসহ সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সেন্ট মার্টিনের স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।</p> <p>দুই দিনব্যাপী আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানা ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় নেতৃত্ব দেয় ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর আগেও সংগঠনটির উদ্যোগে দ্বীপে এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এটি তাদের ১৩তম উদ্যোগ।</p> <p>কেওক্রাডং বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেন্ট মার্টিনের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এভাবে সবাই দায়িত্ব পালন করলে শুধু সেন্ট মার্টিন নয়, বর্জ্যমুক্ত একটি পৃথিবী গড়ে তোলা যাবে।’</p> <p>সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিবছরের মতো এই বছরও সেন্ট মার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছে। এটি সেন্ট মার্টিনের জন্য খুব উপকারী কাজ।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিবছর হাজারো পর্যটক আমাদের এ দ্বীপে আসেন। স্থানীয় ও পর্যটকদের কারণে সমুদ্রসৈকতে নানা ধরনের বর্জ্য জমা হয়। সৌভাগ্যবশত কেওক্রাডং বাংলাদেশের মতো সংস্থার সৈকত পরিষ্কারে প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলোর কারণে দ্বীপের সৌন্দর্যকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।’</p> <p>কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশে ভৌগোলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনো জলাধারে হয়ে থাকে। আর সেন্ট মার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ছড়িয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন। এর সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এ দ্বীপে জড়ো হন। দ্বীপটির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে ১৩ বছর ধরে প্রতিবছর উপকূল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে আসছি এবং প্রতিবছরই এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে কাজ করলে শুধু সেন্ট মার্টিন নয়, পুরো পৃথিবীকেই আরো পরিষ্কার করে তুলতে পারব।’</p>