<p>অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অদম্য ইচ্ছে শক্তি, ভালোবাসা আর বৃক্ষপ্রেমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলেছেন কমলা বাগান। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় সর্বপ্রথম কমলা বাগান গড়ে তুলেছেন সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়।</p> <p>চার বছর আগে গড়ে ওঠা কমলার বাগান নামের সঙ্গে এখন পরিপূর্ণতায় রুপ নিয়েছে ‘কমলা ভ্যালী’। কমলা বাগানে মালিকের দেওয়া নামে খ্যাত কমলা ভ্যালীর কমলা গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় কমলা। কমলা ভ্যালীতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভিড় করছেন কমলার বাগান দেখার জন্য। সেই সঙ্গে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন আগত দর্শনার্থীরা।</p> <figure class="image" style="float:left"><img alt="ফল" height="323" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nahid/Untitled-4a (1).jpg" width="538" /> <figcaption>দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার বাড়েয়া গ্রামে কমলা ভ্যালীতে বাগানের<br /> স্বত্বাধিকারী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়। ছবি : কালের কণ্ঠ</figcaption> </figure> <p>জানা যায়, বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া ইউনিয়নের বাড়েয়া গ্রামের সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় ২০২০ সালে ৩ একর জমিতে কমলার বাগান শুরু করেন। গত বছর থেকে ফলন আসা শুরু হয়। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর এবার ফলন একটু কম হয়েছে। এবার আবহাওয়া প্রচণ্ড খড়া থাকার কারণে ফলন কম হয়েছে। বর্তমানে সহস্রাধিক দার্জিলিং ও চাইনিজ জাতের কমলার গাছ রয়েছে। এক একটি গাছে ফলন ধরেছে প্রায় হাজার খানেকের মতো। এই কমলার বাগানে দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে কমলা খাওয়াচ্ছেন। পাশাপাশি কেউ কিনতে চাইলে পাইকারি দামে তা বিক্রিও করছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ গাড়ির সংঘর্ষ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734843764-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ গাড়ির সংঘর্ষ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/22/1460064" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কমলা ভ্যালীতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মিমি আক্তার বলেন, ‘আমি এই প্রথম কমলার বাগান দেখলাম। দেখে খুব ভালো লাগলো। আগে টিভিতে বিভিন্ন জায়গার কমলার বাগান দেখেছি এবং শুনেছি। আমাদের দেশেও এখন ফলের বাগান হচ্ছে। খুব আনন্দ লাগছে।’</p> <p>আরেক দর্শনার্থী সিথি বলেন, ‘আমার জীবনে এই প্রথম কোনো কমলা বাগান দেখতে আসা। আর সমতলের কমলা বাগান আমাদের উত্তরবঙ্গে নেই বলে চলে। আমি এখানে আসে অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করছি।’</p> <p>বাগান মালিক বিশ্বনাথ রায় বলেন, ‘আমি ভারতের দার্জিলিং শহরে গিয়ে কমলার দেখে আভিভূত হন। তখন থেকেই আমার মনে ইচ্ছে জাগে কমলার বাগান করার। ২০২০ সালে করোনা কালীন সময়ে ঘর বন্দি থাকার সময় সিদ্ধান্ত নেই কমলা বাগান করব। এরপর খুলনা থেকে দার্জিলিং ও চাইনিজ জাতের কমলার চারা নিয়ে আসি। সেই চারা দিয়ে বাড়ির পাশে দেশীয় প্রযুক্তি খাটিয়ে বাগান শুরু করি। ধীরে ধীরে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মাটিখেকোদের ভয়ংকর থাবা সালথা-নগরকান্দার ফসলি জমিতে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734843096-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মাটিখেকোদের ভয়ংকর থাবা সালথা-নগরকান্দার ফসলি জমিতে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/22/1460058" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে তার কমলা ভ্যালীতে সহস্রাধিক গাছে দার্জিলিং ও চাইনিজ জাতের সুস্বাদু কমলার ফলন এসেছে। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় হলুদ কমলা শোভা পাচ্ছে। বাগানে দুষ্প্রাপ্য অনেক ফলের গাছ রয়েছে যা আমাদের দেশে খুব একটা দেখা যায় না।’</p>