<p style="text-align:justify">বরগুনার তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জিয়া স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে। এদিকে রাতের আঁধারে মঞ্চের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আওয়ামীপন্থীরা জয় বাংলা স্লোগান লিখে রাখে।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই বিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকার ও সহকারী শিক্ষক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক রুবেল মাস্টারের অপসারণের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, উপজেলার সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জিয়া স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। ওই মাঠে এক প্রান্তে পাকা মঞ্চ ও বিদ্যালয়ের আশপাশের দেয়ালে জয় বাংলা স্লোগান লেখা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকর্মীদের জানায়। মুহূর্তের মধ্যে ওই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা বিএনপিসহ ছাত্র-জনতা স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে জয় বাংলা স্লোগান মুছে দেয়। পরে ওই বিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকার ও সহকারী শিক্ষক জিয়াউল হক রুবেল মাস্টারকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনতা।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন বলেন, স্কুল মাঠে ২৪ ডিসেম্বর থেকে জিয়া স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। ওই খেলার সৌন্দর্য ও খেলা বানচাল করার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় টাকায় নিয়োগ নেওয়া অবৈধ প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিক্ষক রুবেল এই কাজের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি আমরা নৌবাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। আমরা ওই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।</p> <p style="text-align:justify">সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউল হক রুবেল বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকার কারণে কিছুদিন আগে আমি শ্বশুরবাড়ি কলাপাড়া শহরে বেড়াতে আসছি। কে বা কারা ওই স্লোগান লিখেছে, তা আমি জানি না।’</p> <p style="text-align:justify">তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমি দেখেছি। তবে আমি দোষী নই। বিদ্যালয়ের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p style="text-align:justify">তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, ‘দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা ও নৌবাহিনীকে বলেছি। শিক্ষকরা দোষী হলে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলব।’</p>