<p>বিদেশ যাওয়ার জন্য স্ত্রী নাজমা আকতারকে বাবার বাড়ি থেকে দেড় লাখ টাকা এনে দিতে বলেছিলেন আব্দুল জব্বার। টাকা না এনে দেওয়ায় দুই সপ্তাহ আগে মেরে নাজমার হাত ভেঙে দেন আব্দুল জব্বার। পরে তাঁকে পাঠিয়ে দেন বাবার বাড়ি। শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। সুস্থ হওয়ার দুই দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর শরীরে অকটেন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারলেন আব্দুল জব্বার। </p> <p>গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামে নাজমা আকতারের বাবার বাড়িতে। ঘটনার সময় নাজমার সন্তান চার বছরের জিমাম ও আড়াই বছরের জিদান পাশের কক্ষে ঘুমিয়েছিল। আর সামনের ঘরে ছিলেন নাজমার মা। এদিকে গতকাল পালিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল জব্বারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>নাজমার বড় ভাই মোহাম্মদ তারেক গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর আগে আমার ছোট বোন নাজমার বিয়ে হয় আব্দুল জব্বারের সঙ্গে। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য একাধিকবার চাপ দেয় আব্দুল জব্বার। টাকা না দিলে মারধর করত। এবার দুবাই যাওয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয় বোনকে। টাকা না দেওয়ায় দুই সপ্তাহ আগে মেরে ডান হাত ভেঙে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।’</p> <p>তারেক আরো বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাদের নতুন বাড়িতে হঠাত্ ঢুকে পড়ে জব্বার। ওই সময় আমার বোন রান্নাঘরে বসা ছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে জব্বার সঙ্গে নিয়ে আসা অকটেন নাজমার গায়ে ছুড়ে মারার সঙ্গে সঙ্গে দেয়াশলাইয়ের জ্বলন্ত কাঠিও ছুড়ে মেরে পালিয়ে যায়। বোনকে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩টার দিকে আমার বোন মারা যায়।’</p> <p>এদিকে গতকাল সকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে আব্দুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে নাজমা আকতারের বড় ভাই মোহাম্মদ তারেক বাদী হয়ে আবদুল জব্বারকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় মামলা করেন। </p> <p>চন্দনাইশ থানার ওসি ইমরান আল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p>