<p>ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বছর। ঘটনা বহুল চলতি বছরে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে।</p> <p>বিগত ১৫ বছর ধরে দখল করা চেয়ারে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি পরিবর্তন আসে মাত্র ৭ মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া সংসদীয় আসনে প্রথম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়া মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর চেয়ারেও। এরসঙ্গে বিগত ১৫ বছর ধরে পটিয়ায় শাসনের নামে যিনি শোষণ করে সারা দেশ জুড়ে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর অপশাসনের অবসানও। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের মাঠে চরম অপমানিত হয়ে পটিয়া ছাড়া হয়েছেন তিনি। পরিবর্তন এসেছে ২৯ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া যুবলীগ নেতা দিদারুল আলমের চেয়ারেও।</p> <p>জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে পটিয়া। তবে একটানা তিন বারের আওয়ামী লীগের টিকিটে উড়ে এসে জুড়ে বসে এমপি হওয়া সাবেক যুবদল নেতা সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতন, আওয়ামী লীগের মুল ধারার নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের মূল্যায়ন, পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে পটিয়া জুড়ে লুটপাট, দখল বাণিজ্য, ক্যাসিনো ব্যবসা, দুদকের দায়মুক্তির নামে তামাশা নিয়ে ছিল আলোচনা-সমালোচনায় মুখর।</p> <p>পাশাপাশি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৬টি পরিষদের আওয়ামী মদদপুষ্ট চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরাও ৫ আগস্ট ক্ষমতা ফেলে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর তারাও আত্মগোপনে চলে গেছে জনরোষের ভয়ে। এ ছাড়াও পটিয়া পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা জনরোষের শিকার হতে বাঁচতে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতা মেয়র আবুল বাবুলও পালিয়ে গেছেন গত ৫ মাস ধরে। সরকার পতনের ফলে প্রায় ১৫ বছর পর পরিবর্তন আসে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ এসব চেয়ারে।</p> <p>যুবদল ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি থেকে ডিগবাজি দিয়ে আওয়ামী লীগে এসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ‘মধুর হাঁড়িথর সন্ধান পেয়ে যান বিতর্কিত সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। গত ১৫ বছরে তার সম্পদ বাড়ছে অস্বাভাবিক গতিতে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া যায় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামার সম্পদ বিবরণীতেই। জাতীয় সংসদ সদস্য পদে থাকার সময়েই ‘রকেট গতিতে বেড়েছে তার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি।</p> <p>তার সম্পদ বিবরণীর বাইরেও তিনি প্রচুর সম্পদের মালিক বলে জানিয়েছেন তারই ঘনিষ্ঠজনরা। নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা এবং রাজকীয় জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই হুইপ সম্পদ বিবরণীতে আসবাবের মূল্য প্রদর্শন করেছেন ‘শায়েস্তা খাঁথর আমলের। আর রিয়াজুদ্দিন বাজারের মতো একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় ৯০০ বর্গফুটবিশিষ্ট চারতলা ভবন তথা তিন হাজার ৬০০ বর্গফুট ভবনের মূল্য উল্লেখ করেছেন দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি বর্গফুটের দাম পড়ে ৭৭ দশমিক ৭৮ টাকা! এমন ‘শায়েস্তা খাঁথর আমলের সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে মূলত নিজের সম্পদমূল্য কম প্রদর্শনের জন্যই। </p> <p>বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। ওই নির্বাচনে প্রচার ব্যয় চালানোর মতো আর্থিক সংগতি ছিল না তার। এ কারণে শ্যালক ও ভায়রার কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা এবং নিজের মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলেন। ওই সময় তিনি এতই দরিদ্র ছিলেন যে তার হাতে নগদ টাকা ছিল মাত্র এক হাজার ৩৬৯ টাকা। আর তার স্ত্রীর কোনো সম্পদই ছিল না। কিন্তু ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ১০ বছরের মধ্যে সামশুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে অন্তত এক হাজার ৫৪৬ শতাংশ। তৃতীয় দফা সংসদ নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখিত সম্পদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।</p> <p>পটিয়ার শোভনদন্ডী গ্রামের বাড়ির রাজপ্রাসাদ, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকার বাসার আসবাব এবং ঢাকার গুলশানের বাসার আসবাব চোখ-ধাঁধানো এবং রাজকীয়। অত্যন্ত দামি আসবাব দিয়ে তিন জায়গার বাসা-বাড়ি সুসজ্জিত হলেও এসবের মূল্য নির্ধারণে অবিশ্বাস্যভাবে ‘শায়েস্তা খাঁথর আমলকেই বেছে নিয়েছেন। এই সময়ে সামশুল হক চৌধুরীর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে এক কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ১৭০ টাকার।</p> <p>দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, হলফনামায় প্রদর্শিত সম্পদের বাইরেও নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন হুইপ দম্পতি। বিদেশে পাচার করেছেন বিপুল অর্থ। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুই বছর আগে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে পুলিশের বিশেষ শাখায় (ইমিগ্রেশন) চিঠি পাঠিয়েছিল দুদক।</p> <p>এদিকে, ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগে পটিয়ার বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের ব্যাংক হিসাব এবং তাদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৩ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম।</p> <p>বিতর্কিত সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ছাড়াও পরিবারের বাকি সদস্যরা হলেন- সামশুল হকের স্ত্রী কামরুন নাহার চৌধুরী, ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মেয়ে তাকলিমা নাছরিন চৌধুরী, তাহমিনা নাসরিন চৌধুরী, ছোট ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত ও মজিবুল হক চৌধুরী নবাব।</p> <p>সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক এমপি-মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সাবেক এমপি সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি।</p> <p>গত ১৫ বছর ধরে সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী সম্পদ বেড়েছে রকেট গতিতে। গত পাঁচ বছর তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হলফনামা অনুযায়ী শুরুতে আয়-সম্পদ ছিল খুবই কম। নির্ভরশীলদের নামে কোনো অর্থ-সম্পদ ছিল না। দেড় দশকে ক্ষমতায় থাকাকালীন তার আয় বেড়েছে ৩০ গুণ। সম্পদ হয়েছে অঢেল। </p> <p>২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় (পটিয়া তখন চট্টগ্রাম-১১ ছিল) তার স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। ছিল না কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। কিন্তু ১৫ বছরের ব্যবধানে পত্নীসহ হুইপের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামে বর্তমানে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বরের দেওয়া হলফনামা এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বরের হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য মিলেছে। </p> <p>স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার অকৃষি জমি, হালিশহর হাউজিং এস্টেট এবং রিয়াজ উদ্দিন বাজারে দুটি দালানের দাম দেখানো ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ওই সময়ে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ঋণ ছিল সামশুল হক চৌধুরীর।</p> <p>বর্তমানে চিত্র একেবারে ভিন্ন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, বর্তমানে স্ত্রীসহ হুইপের বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৮ টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর বার্ষিক আয় রয়েছে ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৮ টাকা। বার্ষিক আয়ের মধ্যে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্য ভাড়া খাতে আয় ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৪ টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র কিংবা ব্যাংক আমানত খাতে আয় ৭ লাখ ৯৬ হাজার ১০৮ টাকা। হুইপের ভাতা খাতে ১১ লাখ ৪ হাজার এবং অন্য খাতে আয় রয়েছে ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৮ টাকা। </p> <p>একইভাবে হুইপপত্নী কামরুন নাহারের আয়ের মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্য ভাড়া খাতে বছরে আয় ৪ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র খাতে আয় ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা এবং ব্যাংক আমানতের সুদ হিসেবে আয় ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে হুইপের হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা, রয়েছে ১০ হাজার ৩২ ডলার ৭ সেন্ট। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯ টাকা। গণনা প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ২৬০০ শেয়ার রয়েছে হুইপের। এই শেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের ১০০০ শেয়ার রয়েছে সামশুল হক চৌধুরীর। এসব শেয়ারের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ব্যাংকে এফডিআর রয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩০ লাখ টাকার। ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি এবং ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মিলে মোট দুটি ল্যান্ড ক্রুজার রয়েছে হুইপ সামশুলের। </p> <p>একইভাবে হুইপপত্নীর নগদ টাকা রয়েছে ২৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা। গণনা প্রপার্টিজ লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ২০০০টি।</p> <p>অপরদিকে, প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীরও অভিযোগের কমতি ছিল না। তিনি নির্বাচিত হওয়ার সাত মাসের মাথায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনিও আত্নগোপনে চলে যান। আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল বিতর্কিত। প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতা তার বলয়ে রাখতেন সবসময় ক্যাডার বাহিনীদের। তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারতেন না অন্যরা। নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি দিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিতর্কিত ও অযোগ্য লোকদের কমিটিতে স্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হয় মোতাহেরকে। এপ্রিলের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে মহানগরের এক যুবলীগ নেতাকে মৌন সমর্থন দিয়ে নিজ দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জনরোষে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে যুবলীগ নেতা দিদারুল আলমকে নির্বাচিত করেন। আর দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে পরাজিত করেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। কিন্তু কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচিত হওয়া দিদারের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দুই মাসের মাথায় সরকার পতন হওয়ার পর সে কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।</p>